অনলাইন ডেস্ক : পড়তে বসার ঘর গোছানো না থাকলে মোটেও ভালো লাগে না পড়তে বসতে। সে কারণে পড়ার ঘরকে আকর্ষণীয় করে তোলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
সে ক্ষেত্রে পড়ার ঘর অবশ্যই খোলামেলা হতে হবে। উত্তর দিকে খোলা জানালা থাকলে তো কথাই নেই। না হলেও অন্তত আলো-বাতাস আসার জন্য একটি বড়সড় জানালা অবশ্যই রাখবেন। জানালার পাশে ছোট ছোট ফুলের গাছ থাকলে আরো ভালো হয়। এতে ঘরের শোভা বাড়বে। সকাল সকাল রোদ ঢুকলেই ঘর সুন্দর থাকবে। পড়তে বসে মন ভালো হয়ে যাবে।
এলোমেলো করে বই ছড়িয়ে রাখা অনেকের অভ্যাস। এটা বাদ দিতে হবে। পড়ার পর বইটি রেখে দিতে হবে শেলফের নির্দিষ্ট তাকে। বইপত্র ছড়ানো থাকলে, ঘরে ঢুকতে মোটেও ইচ্ছা হয় না। গোছানো থাকলে মনে হবে, দু’দণ্ড বসি গিয়ে।
নিয়মিত বুক শেলফের ধূলা ঝাড়ুতে হবে। গড়িমসি করবেন না। তাতে ঘরের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন, নির্মল থাকবে। ধূলা জমতে থাকলে, ঘরের পরিবেশে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না।
বাড়ি ছোট হলেও নিরিবিলি জায়গা বেছে নিন পড়ার ঘর তৈরির জন্য। খোলামেলা অথচ কোণার দিকে হলে ভালো হয়। আর পড়ার নেশা থাকলে বই বেশি হলে দেয়াল ঘেঁষা তাক বানিয়ে নিতে পারেন। পরপর বই রাখলে ঘরের ছবিও বদলে যাবে।
পড়ার ঘর হতে হবে নিঃস্তব্ধ, কোলাহল থেকে অনেকটা দূরে। তাতে মনযোগ ভালো হবে। টেলিভিশন একেবারেই রাখবেন না। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলে, স্পিকারের ভলিউম অত্যন্ত কম করে রাখুন।
দিনের বেলা প্রকৃতির আলোয় আলোকিত হোক পড়ার ঘর। আর বিকেলের পর থেকে পড়াশোনার জন্য রাখতে পারেন হাই পাওয়ারের টেবিল ল্যাম্প।
পড়ার টেবিলে বেশি জিনিসপত্র রাখবেন না। যতটুকু না রাখলেই নয়, ততটুকুই। বই, খাতা, কলমদানির পাশাপাশি বরাবর থাকতে পারে একটা ছোট্ট ফুলদানি, প্রিয় কারও পোস্টার। যা আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
ছিমছাম অথচ ভাবনাচিন্তা করে পড়ার ঘর সাজাতে হবে। ছোটদের জন্যই হোক বা বড়দের, পরীক্ষা হোক বা মনের খিদে মেটানো– পড়ার ঘর যেন হয় আকর্ষণীয়।