

অনলাইন ডেস্ক :
সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বুধবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ এখন পর্যন্ত যেদিকে আছে তাতে বাংলাদেশের তেমন ঝুঁকি নেই। তবে এটি যদি দিক পরিবর্তন করে আরো ডানে সরে যায় তাহলে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।’ শাহানাজ সুলতানা বলেন, এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চল, অর্থাৎ খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি যে পথ দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করবে তা ভারতের উপকূল অতিক্রম করবে তার ডান দিকে বাংলাদেশের উপকূলে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিষয়ক সরকারি সংস্থা আইএমডি গতকাল সন্ধ্যায় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ডানা পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ ভোরের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের এসে তীব্র বা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আইএমডি বলছে, আজ রাত থেকে কাল শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র বা প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এটি ওড়িশার পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি ওড়িশার ভেতর কণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে। স্থলভাগ অতিক্রমের সময় এর বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার বেগে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র অবস্থান জানিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আরো পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।















