

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা আজ । তারা আজ মঙ্গলময়ী, শক্তিরূপিণী শ্যামা মায়ের পূজার্চনা করবেন।

একই সঙ্গে দীপাবলি উৎসবও আজ। ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বেলে আয়োজন করা হবে দীপাবলি উৎসবের।
দীপাবলী-আলোর উৎসব। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক শুভ দেওয়ালি বা দীপাবলী। অন্ধকারকে দূর করে শুভ ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠায় এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
প্রাচীন প্রথা অনুসারে দীপাবলির সন্ধ্যায় তেল দিয়ে সহস্র মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। তবে বর্তমানে শহরাঞ্চলে অনেকে তেলের প্রদীপের পরিবর্তে মোমবাতি ব্যবহার করেন।
দীপাবলি উৎসব মানে শ্যামাপূজাও। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা কালীর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তাই শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংগ্রামের প্রতীক।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু পুরাণ মতে কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা।
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী- কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
দীপাবলির সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণ, বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সেজে ওঠে সারি সারি প্রদীপ আর মোমের স্নিগ্ধ আলোয়। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক দীপাবলি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তাই শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংগ্রামের প্রতীক। ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার ও সূত্রাপুরসহ পুরান ঢাকার অনেক এলাকায় ম-পে বেশ ঘটা করে শ্যামা পূজা হয়। রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কালীপূজার আয়োজন রয়েছে।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে শ্যামাপূজা উদযাপিত হবে। পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হবে আগত ভক্তদের মাঝে। রাতে কালীপূজা শেষে অঞ্জলি দেবেন ভক্তবৃন্দ।
















