

অনলাইন ডেস্ক :
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি অংশের অভিযোগ, ভারতবিরোধী ফেসবুক পোস্ট ঠেকাতেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করা এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কিছু কর্মকর্তা/কর্মচারী ইচ্ছা ও অনিচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশ করেছে। এমনকি সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্যও করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত, প্রকাশ করা হতে বিরত থাকতে হবে। কোনো সম্প্রদায় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস বা পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
এ ছাড়া লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। যেমন- জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বিষয়ে লেখা, অডিও বা ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ বা শেয়ার করা। ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার হতে বিরত থাকা।
নির্দেশনা না মানলে ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন’। এবং কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট, কমেন্ট শেয়ার ইত্যাদি হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-২ কর্তৃক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।








