এবার কত মুসলিম হজ করলেন জানালো সৌদি কর্তৃপক্ষ

অনলাইন ডেস্ক :

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পালিত হয়েছে পবিত্র হজ। তবে হজের আনুষ্ঠানিকতা আরও কয়েক দিন চলছে। এবার কতজন মুসলিম হজ পালন করলেন সেই পরিসংখ্যান জানিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।

ইনসাইড দ্য হারামাইন জানায়, এ বছর হজ পালন করেছেন বিশ্বের ১৬ লাখের বেশি মুসলমান। বিশ্বের ১৭১টি দেশ থেকে এবার হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন।

এর মধ্যে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ নিবন্ধিত হাজি ছিলেন এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৪ জন এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজির সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ছয় হাজার ৫৭৬ জন। পুরুষ হাজির সংখ্যা ছিল আট লাখ ৭৭ হাজার ৮৪১ জন। নারী হাজির সংখ্যা ছিল সাত লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৯ জন।

এই হাজিদের মধ্যে বিমানে সৌদি আরবে গমন করেছেন ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৭ জন। নৌপথে সৌদিতে এসেছেন পাঁচ হাজার ৯৪ জন। মাইক্রো, কার ও এ জাতীয় পরিবহনে হজ করতে গেছেন ৬৬ হাজার ৪৬৫ জন হজযাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) স্থানীয় সময় বেলা ১২টার পর (বাংলাদেশ সময় তিনটার পর) ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরায় ১৪৪৬ হিজরি সনের হজের খুতবা দেন সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম ও বিচারবিদ শায়খ ড. সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ। এবারের হজের খুতবার অনুবাদ বাংলাসহ বিশ্বের ৩৫টি ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

হজের খুতবায় বছরের পর বছর ধরে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি মুসলিমদের মুক্তি ও বিজয় কামনা করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়েছে। মুসলিম উম্মাহকে ঈমান-আমল সংরক্ষণ ও সংশোধনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির দিকে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পবিত্র সকালে থেকে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান নেন লাখ লাখ লাখ হাজি। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে আরাফাতের ময়দান। 

আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল বিধান। হজের খুতবার পর এক আজান এবং দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন হাজিরা। মাগরিব পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামাজ না পড়ে তারা চলে যাচ্ছেন মুজদালিফায়। সেখানে এক আজান ও দুই ইকামতে মাগরিব ও ইশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন। 

মুজদালিফায় রাত কাটিয়ে সেখান থেকে কংকর সংগ্রহ করে হাজিরা আবার মিনার ময়দানে যাবেন। সেখানে শয়তানকে কংকর মারা এবং পশু কোবরানির বিধান পালন করবেন। এছাড়া বায়তুল্লাহয় গিয়ে ফরজ তওয়াফও আদায় করবেন তারা।

পরে মিনায় এসে আরও দুই দিন অবস্থান এবং টানা দুই দিন শয়তানকে কংকর মারার মাধ্যমে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *