মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ১০ দিনব্যাপী মুজিব চিরন্তন

অনলাইন ডেস্ক :

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ১৭ মার্চ থেকে টানা ১০ দিন ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার। ওই অনুষ্ঠানে অন্তত পাঁচজন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান সশরীরে উপস্থিত থাকবেন।  শুক্রবার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানেই বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানরা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

 

আগামী ১৭ সার্চের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্, ১৯ মার্চের অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে, ২২ মার্চের অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী, ২৪ মার্চের অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।

 

এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আরো ৫০০ অতিথি থাকবেন। এই পাঁচ দিনসহ অন্য পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ধারণকৃত বক্তব্য দেখানো হবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠান টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ছাড়া ১৮ মার্চের অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ২০ মার্চের অনুষ্ঠানে ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, ২২ মার্চের অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা, ২৪ মার্চের অনুষ্ঠানে পোপ ফ্র্যান্সিস, ২৫ মার্চের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন এবং বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাপানের তাকাশি হাওয়াকাওয়ার ছেলে ওসামু হাওয়াকাওয়া বক্তব্য দেবেন।

 

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, অনুষ্ঠানে প্রতিদিন আলাদা প্রতিপাদ্যভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিওভিজ্যুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এসব অনুষ্ঠানের থিম হলো ১৭ মার্চ ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬ মার্চ ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।

 

অনুষ্ঠানের সময় সম্পর্কে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। অন্যান্য দিনের অনুষ্ঠান বিকেল সোয়া ৫টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টায় শেষ হবে। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *