অনলাইন ডেস্ক :
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ এর প্রজ্ঞাপণ প্রকাশ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সংক্রান্ত ১০টি বিবেচ্য বিষয় দিয়ে হিসাব-নিকাশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিজেল, পেট্রল, অকটেন, কেরোসিনের মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী চলতি মার্চ থেকেই জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করতে হবে। এরপর নতুন সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, আইএমএফ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি (অটোমেটেড প্রাইসিং ফর্মুলা) কার্যকর করার শর্ত দিয়েছিল।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রজ্ঞাপণের তথ্যনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে আমদানিকৃত পরিশোধিত ডিজেলের কস্ট কম্পোনেন্টগুলোর পাশাপাশি ইস্টার্ণ রিফাইনারিতে ক্রুড অয়েল থেকে উৎপাদিত ডিজেলের কস্ট কম্পোনেন্টগুলো অন্তর্ভুক্ত হবে। এ দুই ধরনের জ্বালানি তেলের কস্ট কম্পোনেন্ট বিবেচনা করে ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
ডিজেল-কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য = পণ্য মূল্য+আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট+অপারেশনাল ব্যয়+আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়+বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) মার্জিন+ভ্যাট+বিক্রয় ও বিতরণ খরচ।
অকটেনের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য = পণ্য মূল্য+আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট+অপারেশনাল ব্যয়+আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়+বিপিসির মার্জিন+আলফা+ভ্যাট+ বিতরণ খরচ।
স্বয়ংক্রিয় মূল্য কাঠামো বলতে পূর্ববর্তী মাসের বা একটি নির্দিষ্ট সময়ের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের চলমান গড়ের ভিত্তিতে জ্বালানি তেলের আমদানি ব্যয়, সংশ্লিষ্ট সময়ের ডলারের গড় বিনিময় হার, শুল্ক-কর, বিপিসি মার্জিন ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে মূল্য ঠিক করা হবে।