

ইবি প্রতিনিধি :
এসময় প্রক্টরিয়াল বডি, বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাস থানায় সোপর্দ করেন।
তোপের মুখে পড়া ওই ছাত্রলীগ নেতা ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মামুন অর রশিদ।
আবার শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে তিনি প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিভাগের শিক্ষকরা জানান, ‘পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। পরে তাকে আসার জন্য নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু আজকে তিনি কখন এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তা বুঝতে পারিনি।
প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছে বলে মনে করি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে পরীক্ষা দিতে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। এরপরও তিনি পরীক্ষা দিতে এসেছেন। আসার পেছনে কারোর ইন্ধন রয়েছে কিনা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তাকে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছে। জানা গেছে, তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আহত আরমান মীর সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ৩০ অক্টোবর মামলা করা হয়। ওই মামলায় মামুন অর রশিদ ১৮ নম্বর আসামি। ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। পরবর্তীতে ৭ জানুয়ারি জামিন পান তিনি।












