

মটো কর্নার ডেস্ক:
বাংলাদেশে মোটরসাইকেল এখন আর শুধু শখের বাহন নয়, অনেকের নিত্যদিনের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে অধিকাংশ চালকই মোটরসাইকেলের নিয়মিত সার্ভিসিংয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো সার্ভিস না করালে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কতদিন পর সার্ভিস করানো উচিত?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রথম ৫০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করার পরই প্রথম সার্ভিস করানো উচিত। এরপরে সাধারণত ২০০০-২৫০০ কিলোমিটার ব্যবধানে নিয়মিত সার্ভিস করানো ভালো। তবে ইঞ্জিনের ধরন, মোটরসাইকেলের সিসি এবং চালানোর ধরন অনুযায়ী এই সময়সূচি পরিবর্তিত হতে পারে।
সার্ভিসিংয়ে কী কী করা উচিত?
ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন
এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার বা পরিবর্তন
চেইন সেট ও টায়ার চেক
ব্রেক সিস্টেম পরীক্ষা
ব্যাটারি চেক
ক্লাচ, গিয়ার ও অন্যান্য চলন্ত অংশের অবস্থা পরীক্ষা
ঢাকার একটি বিখ্যাত মোটরসাইকেল সার্ভিস সেন্টারের প্রধান প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, ‘অনেক চালক মনে করেন ইঞ্জিন ঠিকমতো চললে সার্ভিসের দরকার নেই। এটা ভুল ধারণা। নিয়মিত সার্ভিস করালে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স ঠিক থাকে, ফুয়েল খরচ কম হয় এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও হ্রাস পায়।’
শহরের ভেতরে প্রতিদিনের ট্রাফিক, ধুলা-বালির কারণে মোটরসাইকেলে বেশি চাপ পড়ে। তাই শহরে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়মিত এবং সময়মতো সার্ভিসিং প্রয়োজন। অন্যদিকে গ্রামীণ এলাকায় তুলনামূলক কম সার্ভিস প্রয়োজন হলেও রাস্তার অবস্থার কারণে যন্ত্রাংশের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্যবহারকারীরা বলছেন, সার্ভিসিংয়ের সময়সূচি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হলে বাইক কোম্পানি ও বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে আরও প্রচারণা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত সার্ভিসিং মোটরসাইকেলকে দীর্ঘদিন ভালো রাখার পাশাপাশি নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করে।











