

ডিপি ডেস্ক :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক ব্যাংকার তানিয়া হককে কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইফফাত মুকাররমা সানিমুনের বিরুদ্ধে। এক মাস আগে থানায় মামলা হলেও এখনো স্বর্ণালংকার উদ্ধার বা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া হক জানান, চাটমোহর সোনালী ব্যাংকের শাখায় কর্মরত তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার শরৎনগর বাজারের বাসিন্দা। তার বান্ধবী ইফফাত মুকাররমা ভাঙ্গুড়া উপজেলার আরাজী পারভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও শহরের সরদারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
৬ মাস ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি। গত ৪ জুলাই ঢাকা থেকে এসে ইফফাত তানিয়ার বাসায় ওঠেন। পরদিন রাতে একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে ফিরে ইফফাত নিজ হাতে কফি বানিয়ে তানিয়াকে খাওয়ান। কফিতে ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল বলে অভিযোগ করেন তানিয়া।কিছুক্ষণ পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।পরদিন সকালে ইফফাতকে না পেয়ে ফোন করলে তিনি জানান, জরুরি কাজে ঢাকায় গেছেন। পরে দেখা যায়, তানিয়ার হাতব্যাগে থাকা ১২ হাজার টাকা ও আলমারিতে রাখা ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার নেই।
তানিয়া জানান, এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা করা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি এবং চুরি হওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়নি।এ ছাড়া ইফফাত মুকাররমার বিরুদ্ধে তার বাবার কাছ থেকে পেনশনের প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
পাবনার ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।










