

নিউজ ডেস্ক :
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন ওই হাসপাতালের আটক দুই সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেব। তাঁদের গত মঙ্গলবার ঘুষের ছয় লাখ টাকাসহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আটক করেন ডিজিএফআই সদস্যরা।অভিযুক্ত সাদেক পালাতক রয়েছেন।
ওই তিনজনের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়া, বদলি করানো, আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দেওয়া, সরকারি ওষুধ বাইরে পাচারসহ নানাভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত একজন সিনিয়র স্টাফ নার্সের আট বছরের প্রাপ্য ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া বিল পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাদেক। পরে ওই নারীকে ভয় দেখিয়ে এবং চাপ সৃষ্টি করে সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিতে রাজিও করান তিনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, সাদেকের নির্দেশে ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজ চলছে।মামলার বাদী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘সাদেক বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, দালালি, অর্থ আত্মসাত্ করে বিপুল অর্থ-সম্পদ অর্জন করেছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, সাদেকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে ডিজিএফআই সদস্যরা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সকে অর্থসহ আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।