১০০ বিঘা জমিতে প্রস্ফুটিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

অনলাইন ডেস্ক : কৃষিজমিকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করে নানা প্রজাতির ফসলের সুপরিকল্পিত ও শৈল্পিক চাষের মাধ্যমে বঙ্গন্ধুর ছবি আঁকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ১০০ বিঘা জমিতে প্রস্ফূটিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। এটি হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রপ ফিল্ড মোজাইক বা শস্যচিত্র। এর মাধ্যমে তৈরি হবে নতুন বিশ্বরেকর্ড। ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে সহযোগিতা দিচ্ছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সিটিটিউশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইঞা, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষি প্রধান সবুজ বাংলার বিশাল ক্যানভাসকে ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো আঁকা হবে একটি নতুন ধরনের চিত্রকর্ম যা আবারো বিশ্ববাসীর সামনে কৃষি ও কৃষক দরদী বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরবে। সোনালী ও বেগুনী এই দুই রংয়ের ধান ব্যবহার করে আঁকা হবে জাতির পিতার এক বিশাল পোট্রেট যা ইতিমধ্যে তারা ফিল্ড ট্রায়াল সম্পন্ন করেছেন। ফিল্ড ট্রায়ালে বিভিন্ন উচ্চতা ও এঙ্গেল থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে সংগৃহীত ছবি বিশ্লেষণ করে ডিজাইন তৈরী করা হয়েছে। জমি তৈরী করা হয়েছে রোপনের জন্য। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে এ আয়োজনের পরিকল্পনা শুরু হলেও ধান বপন ও চারা রোপনের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরই মধ্যে বীজতলায় চারা রোপন উপযোগী হয়ে উঠেছে। সেই লেআউট বা নকশা অনুযায়ি ধানের চারা রোপন করা হবে। চারা থেকে হবে গাছ, ধান হবে, ধান পাঁকবে আর প্রতিটি ধাপেই তৈরি হবে জাতির পিতার একেক ধরনের পোট্রেট।

১০০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ভিন্নরকম এই চিত্রকর্মের উদ্দেশ্য গিনেজ বুক রেকর্ড করা। গিনেজ ওয়া রেকর্ডস-এর তথ্য অনুযায়ী সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র ২০১৯ সালে চীনে তৈরী করা হয়, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। বাংলাদেশের শস্যচিত্রের আয়তন হবে প্রায় ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট বা ১ লাখ ২০ হাজার বর্গ মিটার। শস্যাচিত্রটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার ও প্রস্থ ৩০০ মিটার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’’-এর ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় দলিল গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। ১৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে নতুন এই বিশ্বরেকর্ড অর্জন উদযাপন করা হবে বলে আয়োজকদের বিশ্বাস।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে আজ শুক্রবার। দুপুর ১২ টায় বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী আয়োজন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *