

ডিপি ডেস্ক :
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সুন্নতে খাতনা অনুষ্ঠানে সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত রবিবার (৮ জুন) রাত ১টার দিকে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। টানা দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপীনাথপুর গ্রামের ইমরান মুন্সির ছেলের সুন্নতে খাতনা উপলক্ষে রবিবার রাত ৮টার দিকে গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উচ্চ শব্দে গান-বাজনার আয়োজন করা হয়।
এ সময় পার্শ্ববর্তী ছোট হামিরদী গ্রামের কয়েকজন যুবক সেখানে গিয়ে নাচতে চাইলে গোপীনাথপুরের যুবকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে রাত ১টার দিকে দুই গ্রামের শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে, টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয় তারা।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে ঢাল, রামদা ও ইটপাটকেল ব্যবহার করে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহত অন্তত ২০ জনের মধ্যে ১৬ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাকি ৮ জনকে ভর্তি এবং ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। পুলিশ টহল জোরদার করেছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানায় এলাকাবাসী।
দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের বিষয়টির নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
তিনি বলেন, ছোট হামিরদী ও গোপীনাথপুর গ্রামের যুবকদের মধ্যে সাউন্ড বক্সে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তা বড় সংঘর্ষে রূপ নেয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।











