শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অধিদপ্তরের

অনলাইন ডেস্ক :

বিভিন্ন জেলার গ্রামগুলোয় শীতের আগমনী বার্তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ভোরে জমাট কুয়াশা যেন সাদা চাদরের মতো মাটিকে ঢেকে দিচ্ছে আর সন্ধ্যা নামলেই উত্তরের হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত এ বছর বেশ আগেভাগেই ঘনিয়ে আসছে। গ্রামের অলিগলিতে হাঁটলেই পাওয়া যাচ্ছে শীতের সেই চেনা অনুভূতি; শিশিরভেজা ঘাস, ঠাণ্ডা বাতাসের শিরশিরে স্পর্শ, আর দূর পাহাড়ি বাতাসের হিম ধারা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।বছরের এই সময়টায় তেঁতুলিয়ার এমন কম তাপমাত্রা সাধারণত শীতের আগমনকে আরো দ্রুত ত্বরান্বিত করে। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে সাগরে যদি কোনো নিম্নচাপ বা ঝড় সৃষ্টি না হয়, তাহলে তাপমাত্রা আরো দ্রুত নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

এই প্রসঙ্গে দেশের আবহাওয়া বিশ্লেষণমূলক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেটরি টিম (বিডব্লিউওটি) বলছে, সাগরের অবস্থা পুরোপুরি শান্ত হলে ডিসেম্বরেই মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। তাদের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ডিসেম্বরের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ নামার সম্ভাবনা শক্তিশালী।

তবে তার আগেই পুরো দেশজুড়ে শীতের অনুভূতি পাওয়া যাবে। তাপমাত্রা কমবে, বাতাসে বাড়বে শীতলতা। তবে সেই মাত্রা শৈত্যপ্রবাহে রূপ নেওয়ার মতো শক্তিশালী না-ও হতে পারে।
বিডব্লিউওটি আরো জানায়, এ বছরের শীতের ধরন কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

নভেম্বরজুড়ে শীতের ধীর ও মনোরম উপস্থিতি থাকবে। ভোরবেলা ঘন কুয়াশা, সন্ধ্যার পর ঠাণ্ডা বাতাস, আর ভোররাতের দিকে তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ার প্রবণতা পুরো মাসজুড়েই অনুভূত হবে। ফলে ঘন শীত না-ও নেমে আসতে পারে। কিন্তু হিম শীতল প্রকৃতি উপভোগ করার সুযোগ থাকবে পুরো মাসই।

সব মিলিয়ে বলা যায়, শীত এ বছর সময় নিয়ে এলেও তার উপস্থিতি নভেম্বরজুড়েই স্পষ্ট থাকবে।উত্তরের গ্রাম থেকে শুরু করে মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে এই শীতল আবহ। হিমেল কুয়াশা, শিশিরভেজা সকাল আর সন্ধ্যার ঠাণ্ডা বাতাস সব মিলে নভেম্বর হয়ে উঠবে প্রকৃত শীতের আগমনী বার্তার এক মনোরম মাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *