আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে দোকান মালিক-কর্মচারীদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ

অনলাইন ডেস্ক :

 

আগামী  ১০ আগস্টের মধ্যে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এজন্য মহানগরিগুলোকে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চালু করার হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।

 

এদিকে, ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খোলার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে সরকাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন দোকানপাট বন্ধ থাকার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসা অবশ্যই আনন্দের। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

 

দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সুরক্ষার বিষয়ে হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে উত্তরা, বাড্ডা, মিরপুর, গাবতলী, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, শাহবাগ, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী ইত্যাদি অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে টিকা অঞ্চল ভাগ করা হবে। এছাড়া, বড় শপিংমলগুলোতে আলাদা টিকা কার্যক্রম করা হবে।

 

এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব‌্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামী ১০ তারিখের মধ্যে সমস্ত মার্কেট, বিপণীবিতান, দোকান এবং অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীদের টিকা নিতে বলা হচ্ছে। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। মার্কেট বা টিকা অঞ্চলে আমাদের আয়োজন থাকবে। টিকা দেওয়ার লোকজন থাকবেন। টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে ব্যবসায়ী সমিতিগুলো।

 

এদিকে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয় ঠেকাতে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এর মধ্যে জীবন-জীবিকার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে এবং আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখতে শর্তসাপেক্ষে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানা খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

 

খাতভিত্তিক টিকা কার্যক্রমের বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, প্রথমে বলব— লকডাউন আমাদের কার্যকর হয়নি। তাহলে কেন আমরা মানুষকে কষ্ট দিয়ে, বেকার রেখে এ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখব? এখন আমাদের বিকল্প চিন্তা করতে হবে, সেটি হলো—যে যার কাজ করতে থাকো। বাসায় করো, অফিসে করো বা কারখানায় করো। দূরত্ব মেনে করতে থাকো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে করো। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ইত্যাদি। তবে, কাজ করতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, খাতভিত্তিক সরকারকে টিকা কার্যক্রম অবশ্যই করা উচিত। প্রতিটি খাতকে তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করানো উচিত। এভাবে হলে এটি অনেক সহজ হয়ে যাবে। সরকারের বোঝাও কমে যাবে। এটি তো সরকারকে মেনে নেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *