অনলাইন ডেস্ক :
সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাটিয়ে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদেরও আইন ও বিধি-বিধান প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনার সার্বিক বিষয়ে আরোপিত দায়িত্বপালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অবহেলা, শৈথিল্য, অসততা ও ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না ৬ জানুয়ারি, শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিইসির ভাষণটি সম্প্রচার করা হয়।
নির্বাচন বিষয়ক আইন ও বিধি-বিধান বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনি এলাকার ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ধরনের নির্বাচনি অনিয়ম- অনাচার প্রতিহত করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সিইসি জানান, এবারের নির্বাচনে ২৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ২৯৯টি আসনে এক হাজার ৯৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষভাবে ভোটের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্তসংখ্যক দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
উল্লেখ্য, ইসির তথ্য অনুযায়ী, এবার ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ জন। নারী ভোটার রয়েছেন ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৪৯। মোট চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১৪৮টি এবং চূড়ান্ত ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি।