বর্ষবরণে প্রস্তুত রমনা বটমূল

অনলাইন ডেস্ক :

 

রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা হবে বাংলা নতুন বছর ১৪৩১। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রমনার বটমূলে অনুশীলন করেন সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ছায়ানটের শিল্পীরা। রোববার ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ৩০টি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাবেন ছায়ানটের শিল্পীরা। 

 

ভোরের আলো ফুটতেই আহীর ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবারের নতুন বছর আবাহনের শুরু হবে। পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে।

 

বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ছায়ানটের পক্ষ থেকে যাদের প্রবেশের বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারাই শুধু সীমানার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্য সবাই বর্ষবরণের এ আয়োজন উপভোগ করতে পারবেন নিরাপত্তাবেষ্টনীর বাইরে বসে।

 

ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী গণমাধ্যমকে বলেন, এমন নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে সাংস্কৃতিক আয়োজন শিল্পী ও দর্শক—সবার জন্যই অস্বস্তিকর। তবে পরিস্থিতি মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

 

১৯৬৭ সাল থেকে দেশের অন্যতম প্রধান সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র এবং সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের আয়োজনে বর্ষবরণের সংগীতানুষ্ঠান হয়ে আসছে। এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অনুষ্ঠান হয়নি। করোনা মহামারির সময় দুই বছর হয়েছে অনলাইনে।

 

অন্যদিকে, প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজন করেছে বর্ষবরণের। রোববার সকালে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে রাজধানীতে শুরু হবে নতুন বছরের উদযাপন। ইউনেস্কো স্বীকৃত মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি গান ও নাচে মেতে উঠে সবাই।

 

দেশের বিভিন্ন শহরে শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

 

পহেলা বৈশাখে উৎসবের শিকড় বাঙালির অন্তরের গভীরে। শত শত বছর ধরে, বাঙালি এই উৎসবের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উদযাপন করে আসছে। ঐতিহ্যগতভাবে, এটি ব্যবসার জন্য নতুন হিসাব শুরুর সময়, যা নতুন বছরে সমৃদ্ধির প্রতীক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *