

অনলাইন ডেস্ক :
টিএসসির গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, সর্বত্র ত্রাণ ও জরুরি পণ্যের স্তূপ। কোথাও চাল-ডালের বস্তা, কোথাও থরে থরে সাজানো অসংখ্য পানি ও তেলের বোতল। জরুরি ওষুধ, টর্চলাইট ও নানা সরঞ্জাম রাখা হচ্ছে টিএসসির দোতলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা টিএসসির মাঠে বসে মধ্যরাত পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী প্যাকেট করছেন। প্যাকেট শেষে প্রতিদিন রাতেই সহায়তা নিয়ে বন্যাদুর্গত কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে ট্রাক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক মো. মহিউদ্দিন গতকাল বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গত দুই দিনে আমরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অসাধারণ সাড়া পেয়েছি। মানুষ তাদের সাধ্য অনুযায়ী যে যা পারছে দান করছে। আজ (শনিবার) ভোররাত পর্যন্ত আমরা ২৫ ট্রাক ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে পেরেছি। এরই মধ্যে টিএসসির ক্যাফেটেরিয়া, গেমস রুম ও বারান্দাগুলো ত্রাণসামগ্রীতে ভরে গেছে। আজ রাতে ডজনখানেক ট্রাক বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায় রওনা হবে।’
ত্রাণসামগ্রীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ নগদ অর্থ সহায়তাও দিচ্ছেন জানিয়ে সহসমন্বয়ক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত দুই দিনে আমরা এক কোটি ৪২ লাখ টাকার বেশি পেয়েছি। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠব।’
আজ থেকে ‘গণরান্না কর্মসূচি’
শুকনা খাবারের পাশাপাশি বন্যার্তদের রান্না করা খাবার বিতরণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ লক্ষ্যে আজ রবিবার থেকে ‘গণরান্না কর্মসূচি’ পালন করা হবে বলে জানান প্ল্যাটফরমের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। অন্যদিকে চলমান ত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে ‘গণরান্না কর্মসূচি’র পরিকল্পনার বিষয়ে জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সবাইকে রান্নার উপকরণ দেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টে লেখা হয়েছে : ‘আগামীকাল (রবিবার) থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় গণরান্না কর্মসূচির পরিকল্পনা করছি। আপনারা শুকনা খাবারের পাশাপাশি চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ, মসলা নিয়ে আসুন।’
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ত্রাণ সংগ্রহের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এর সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা। অন্যথায় আমাদের মূল যে উদ্দেশ্য, তা সফল হবে না। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে। অন্যথায় একই এলাকায় একাধিকবার ত্রাণ চলে যাবে। অন্যদিকে অনেকের কাছে পৌঁছাবেই না।’













