ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণনে বাজুসের নতুন নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক :

 

জুয়েলারি শিল্পের ঐতিহ্য, ব্যবসায়ীক সুনাম ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন নির্দেশিকা-২০২৪ প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন-বাজুস।

 

সোমবার (২১ অক্টোবর) বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

ডায়মন্ডের অলংকার ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণনে বাজুসের নতুন নির্দেশনা গুলো হলো-

 

১. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে 4C তথা (Color, Clarity, Carat, Cut)  মানতে হবে।
২. ডায়মন্ড জুয়েলারিতে শুধুমাত্র Natural Diamond এর অলংকার বিক্রি করা যাবে।
৩. প্রাকৃতিক ডায়মন্ড (Natural Diamond) এর নামে CZ (কিউবিক জিরকন), এডি (আমেরিকান/আর্টিফিশিয়াল ডায়মন্ড), CVD ল্যাবগ্রোন/সিনথেটিক ডায়মন্ড, HPHT (ট্রিটেড/পরিবর্তিত) ন্যাচারাল ডায়মন্ড, মোজানাইট বিক্রি করা যাবে না।
৪. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মান: কালার-IJ, ক্ল্যারিটি-SI থাকতে হবে।
৫. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের সময় বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক মান-এর ল্যাব সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য নয়।
৬. ডায়মন্ড জুয়েলারিতে ১৮ ক্যারেটের নীচে সোনা ব্যবহার করা যাবে না।
৭. আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব সার্টিফিকেট দিয়ে যারা ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রি করবে না তাদের বিরুদ্ধে বাজুস সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৮. ডায়মন্ডের অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার নিকট থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বাদ দিতে হবে (ভ্যাট বাদে মোট মূল্যের উপর)।
৯. ডায়মন্ডের অলংকারের ক্ষেত্রে যদি স্বর্ণের ক্যারেট, ওজন ও সেন্ট’র গড়মিল পাওয়া যায় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে যদি সরকারি সংস্থা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে বাজুস কোনো দায় দায়িত্ব নিবে না।
১০. ডায়মন্ড জুয়েলারির প্রতিটা পণ্যের ট্যাগে বাধ্যতামূলক বিক্রয় মূল্য থাকতে হবে।
১১. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে Combo Offer এবং কোনো পণ্য সামগ্রী ফ্রী দেয়া যাবে না।
১২. ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫% ডিসকাউন্ট প্রদান করা যাবে। যদি কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম অমান্য করে তাহলে ০৫ (পাঁচ) লাখ টাকা জরিমানাসহ বিধি মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৩. বাজুসের তত্ত্বাবধানে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এই টাস্কফোর্স যে কোনো সময় যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ডায়মন্ডের অলংকারের মান, ওজন যাচাই বাছাই করতে পারবে।
১৪. সর্বোপরি বাজুসের নিয়ম নীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।

এই অবস্থায় ব্যবসায়ীক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে উল্লেখিত বিধি বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে ব্যবসাকার্য পরিচালনা করার জন্য বাজুসের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন-বাজুস দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *