

অনলাইন ডেস্ক :
তিনি বলেন, ‘আজ আমেরিকায় সম্পদ, ক্ষমতা ও প্রভাবের একটি চরম অভিজাততন্ত্র আকার ধারণ করছে, যা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের পুরো গণতন্ত্র, আমাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
অতি-ধনীকদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাইডেন। এ ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের নাম না নিলেও বিদায়ি ভাষণে বাইডেনের ‘নিশানা’ ছিল স্পষ্ট।
বাইডেন তার ভাষণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফ্ল্যাটফর্মগুলো নিয়েও কথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ এবং পরিবেশ রক্ষায় তার সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো ট্রাম্পের জমানায় নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেন আমেরিকার বিদায়ি প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন নিজের ভাষণে আরো বলেন, ‘আমি একটি প্রযুক্তি-শিল্প কমপ্লেক্সের সম্ভাব্য উত্থান নিয়েও সমানভাবে উদ্বিগ্ন। এটা আমাদের দেশের জন্যও সত্যিকারের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বাইডেনের ভাষণে গাজার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। তিনি জানান, গত বছরের মে মাসে তিনি যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার প্রস্তাবিত কাঠামোর ওপর ভিত্তি করেই বর্তমানে এই চুক্তিটিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
এর আগে, গত ১০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ বারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি আমি ট্রাম্পকে হারাতাম। হ্যাঁ, পারতাম এবং আমি মনে করি কমলাও ট্রাম্পকে হারাতে পারতেন।’ এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বাইডেনে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নিজের দলের মধ্যেই। গত বছরের অগস্টে শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশনে তিনি নিজেই দলের প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম সুপারিশ করেছিলেন।
আশাবাদী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাইডেন তার ভাষণ শেষ করেন। তবে সোমবার বাইডেন ভিন্ন এক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি যুক্তি দেন, তার নেতৃত্ব প্রতিযোগী বিশ্বশক্তি চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। রূপান্তরমূলক প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই চীনের ওপর নেতৃত্ব নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বাইডেন।
বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার প্রশাসনের সাফল্যের জন্য গর্বিত বলে জানান। তারা একত্রে বীজ রোপণ করেছেন, সেগুলো এক সময় বেড়ে উঠবে এবং যুগের পর যুগ ধরে তা দাঁড়িয়ে থাকবে।সূত্র : সিএনএন,রয়টার্স,এএফপি
















