

অনলাইন ডেস্ক :
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
এর আগে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচি সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘যেহেতু ৭ জুন কোরবানি ঈদ। সে জন্য আমাদের কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কর্মসূচি হবে আট দিনব্যাপী। অর্থাৎ ২৫ তারিখ থেকে ২ জুন পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আলোচনাসভা, দুস্থদের মধ্যে চাল-ডালসহ বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পতাকা অধনমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার প্রকাশ করবে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেবে দলটি।
এ ছাড়া কর্মসূচির মধ্যে আরো আছে, ২৯ মে বিকেল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনাসভা, ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ এবং মসজিদে মসজিদে গণদোয়া।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও সারা দেশে জেলা ও উপজেলা-থানা-পৌর ইউনিটগুলোও জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনাসভা, দুস্থদের মধ্যে খাবার, বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল সেনা সদস্যের গুলিতে নিহত হন প্রেসিডেন্ট জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনের আগে যৌথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।














