বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের বেশির ভাগ শিশু শিক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক :

রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন কলেজের ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পরপরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই আগুনে পুড়ে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিহতদের বেশির ভাগই হলো কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী। পুড়ে তাদের অবস্থা অনেকটা প্লাস্টিকের মতো হয়ে গেছে। কাউকে চেনার কোনো উপায় নেই।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভয়াবহ এক দৃশ্য চোখে পড়ে। সেখানে হাজার হাজার জনতার ভিড়ে আহাজারি করছিলেন স্বজন হারানো লোকজন।

স্কুলটিতে দশম শ্রেণি পড়ুয়া সোনিয়া নামে শিক্ষার্থী বলছিল, আমরা ক্লাসে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। স্কুল তখন ছুটি হবে। ঠিক সেই মুহূর্তে এই ঘটনা ঘটে। যারা দগ্ধ এবং নিহত হয়েছে তাদের বেশিরভাগ শিশু। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বেশি ছিল।

এ সময় তার সাথে থাকা সহপাঠীরা জানায়, দুর্ঘটনার সময় তারা বিকট শব্দ শুনতে পায়। কিন্তু কিসের শব্দ প্রথমে বুঝতে পারেনি। এরপর ক্লাস থেকে বেরিয়ে এসে দেখতে পায় গেটের সামনে আগুন জ্বলছে। এ ঘটনার পর তারা বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ বের হতে দেয়নি।

তারা আরও জানায়, আহত ও দগ্ধ বেশির ভাগ শিশু। তাদের কয়েকজন শিক্ষক ও আয়াও দগ্ধ হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। তিন থেকে চার মিনিটের মাথায় ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে হাজির হন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, যদিও স্কুল শেষ ও ছুটি হয়েছিল, কিন্তু আমাদের ক্লাস টেস্ট চলছিল৷ আমরা ক্লাস টেস্টের মাঝেই চিৎকার দিয়ে উঠে বের হয়ে আসি৷ এমন শব্দ তাতে বোঝা গেল কিছু একটা আছড়ে পড়ল। 

আহতদের উদ্ধারকারী ব্যবসায়ী নুর  বলেন, আমি ওই সময় উত্তরা থেকে দিয়াবাড়ির স্টেশনের দিকে রিকশায় আসছিলাম। হঠাৎ শুনি বিকট শব্দ। লোকজন বলছিল বিমান পড়ছে। এরপর রিকশা থেকে নেমে দ্রুত চলে যাই সেখানে। গিয়ে দেখি প্রায় অর্ধশত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আমরা যেভাবে পারছি তাদের ভ্যান, রিকশা, লেগুনা ও সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়েছি। কতজন মারা গেছে এটা আমাদের পক্ষে বলা মুশকিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *