

অনলাইন ডেস্ক :
ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। বর্ষার ইতি টানার এই পর্যায়ে দেশের প্রকৃতিতে দেখা দিচ্ছে শীতের পূর্বলক্ষণ। ভোরবেলা ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির, হালকা ঠাণ্ডা হাওয়া আর কুয়াশা মিলে জানান দিচ্ছে— শীত আর বেশি দূরে নয়।
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রান্তিক জনপদগুলোর পথঘাট ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশার চাদরে। যেন শরৎকে পেরিয়ে শীত এসে কড়া নাড়ছে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ছে, যা প্রতিদিনই একটু করে ঘন হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত তিন মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষভাগে দেশে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে দু-একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
অক্টোবরের প্রথমার্ধেই দেশের আকাশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে সারা দেশে ৩ থেকে ৬ দিন মাঝারি থেকে তীব্র বজ্রবৃষ্টি এবং ৪ থেকে ৮ দিন হালকা থেকে মাঝারি বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি, এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসবে। যদিও তা এখনো স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকবে।
আগামী তিন মাসে বঙ্গোপসাগরে ৩ থেকে ৬টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ১-২টি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ফলে নভেম্বর-ডিসেম্বরেও থাকতে হবে সতর্ক।
শুধু উত্তরাঞ্চল নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও শীতের আগমনী বার্তা স্পষ্ট হচ্ছে। ভোরের শিশির, মেঘলা আকাশ, আর শরতের সাদা কাশফুলের ভেতর হালকা ঠাণ্ডার অনুভূতি যেন বলে দিচ্ছে— ঋতুচক্রের পালাবদল শুরু হয়েছে।
নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শহরাঞ্চলেও সকালে বের হলে হালকা কুয়াশায় ভিজে যাওয়ার মতো অনুভব হচ্ছে।

















