

অনলাইন ডেস্ক :
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবছর এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় বসবেন এক লক্ষ ২২ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী। দিনের সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ঢাকাসহ দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৫) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একটি স্বচ্ছ ব্যাগে রঙ্গিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র/রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে সকাল ৮টা থেকে ৯:৩০ এর মধ্যে আবশ্যিকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। এর বাইরে কোন ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটরসহ যে কোনো ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ঘড়িসহ অন্য কিছু নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সকাল ৯:৩০ এ পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। এবারের নতুন যোগ হওয়া মানবিক গুণাবলি বিষয়ের কারণে ১৫ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
- নম্বর বণ্টন
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট ১০০ (একশত) নম্বরের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন হলো যথাক্রমে জীববিজ্ঞান-৩০, রসায়ন-২৫, পদার্থ বিজ্ঞান-১৫, ইংরেজি-১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়ন-১৫। পাস মার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ নম্বর।
- সময় বেড়েছে ১৫ মিনিট
পরীক্ষার সময় গত বছরের তুলনায় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে’—বলা হয় নির্দেশনায়।
- সরকারি-বেসরকারিতে যত আসন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা পাঁচ হাজার ৬৪৫; যার মধ্যে এমবিবিএস ৫,১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা সাত হাজার ৪০৬; যার মধ্যে এমবিবিএস ছয় হাজার একটি এবং বিডিএস এক হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১, যার মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১১ হাজার ১০১ এবং বিডিএস কোর্স ১ হাজার ৯৫০টি আসন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বমোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর আবেদন করেছেণ মোট ১ লাখা ২২ হাজার ৬৩২ জন; যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছেলে এবং ৭৩ হাজার ৬০৪ জন মেয়ে।
- ভর্তি পরীক্ষা: কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ৮ ডিসেম্বরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সকল পর্যায়ে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত কোচিং সেন্টার (অনলাইন/অফলাইন) বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
- প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ
সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্র ফাঁস গুজবের বিশ্বাস না করা জন্য অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলেছে, এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। সে তুলনায় এবারের পরীক্ষা মাসাধিককাল সময় এগিয়ে আনা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বে সরকারি ৩৭টি মেডিকেলে পাঁচ হাজার ৩৮০টি ও বেসরকারি মেডিকেলে ছয় হাজার ২৯৩টি আসন ছিল।
পুনর্বিন্যস্ত তালিকা অনুযায়ী, সরকারি চৌদ্দ মেডিকেল কলেজের ৩৫৫ আসন কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে তিন মেডিকেল কলেজের ৭৫টি আসন। সব মিলিয়ে মোট ২৮০টি আসন কমানো হলো।অন্যদিকে ৬৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে কমানো হয়েছে ২৯২টি আসন।







