অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ অন্ধকার পথ থেকে ফিরে কাজে মনোযোগী হলেন

বিনোদন ডেস্ক : অভিনয় জীবনের শুরুতেই পেয়েছিলেন সাফল্য। কিন্তু সেই ধারা মাঝপথে হারিয়ে ফেলেন চোরাগলির অন্ধকারে। সেখান থেকেও ফিরে আসা যায়। দেখিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ।

১৯৯১ সালে ঝাড়খণ্ডে শ্বেতার জন্ম। শ্বেতার বাবা অনুজ প্রসাদ অভিনতা ছিলেন। মা শর্মিষ্ঠা বসু প্রসাদ সুরকার এবং লেখালেখি করেন। মায়ের পদবিই ব্যবহার করেন শ্বেতা।

শৈশবেই বিনোদন জগতে শুরু হয়েছে শ্বেতার কেরিয়ার। প্রথমে টেলিভিশনে কাজ। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সুযোগ বড় পর্দায়। ২০০২ সালে প্রথম বার অভিনয় বড় পর্দায়। ২০০২ সালে প্রথম অভিনয় ছবিতে। বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় ‘মাকড়ি’ ছবিতে চুন্নি ও মুন্নি, দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন শিশুশিল্পী শ্বেতা।

হিন্দির পাশাপাশি শ্বেতা অভিনয় করেছেন তামিল, তেলুগু ও বাংলা ছবিতেও। শ্বেতার একমাত্র বাংলা ছবি ‘এক নদীর গল্প: টেল অব এ রিভার’ তৈরি হয়েছিল ২০০৬ সালে। কিন্তু মুক্তি পায় ন’বছর পরে, ২০১৫ সালে।

ইন্ডাস্ট্রিতে শ্বেতার চলার পথে হঠাৎই সুর কেটে যায় ২০১৪ সালে। অবৈধ যৌন পেশায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। ভিআইপিদের মধুচক্রে পাওয়া যেত তাকে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হায়দরাবাদের একটি হোটেল থেকে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

সে সময় সংবাদমাধ্যমে হায়দরাবাদ পুলিশের বরাত দিয়ে শ্বেতার একটি বিবৃতি প্রকাশ হয়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, অভাবে পড়েই যৌনপেশায় জড়িয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন দীর্ঘদিনের বন্ধু রোহিত মিত্তলকে। বাঙালি ও মারোয়াড়ি, দুই রীতিতেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন শ্বেতা।

ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি শ্বেতা নতুন ছন্দে ফিরে এসেছেন ইন্ডাস্ট্রিতেও। অভিনয় করেছেন ‘বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া’র মতো বক্সঅফিস সফল ছবিতে। তাঁকে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছে ২০১৯-এর ১২ এপ্রিল মুক্তপ্রাপ্ত ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’ ছবিতে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *