ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস বৃহস্পতিবার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এখন ১৬ কোটি মানুষের ভিশন : পলক

অনলাইন ডেস্ক : দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী তিন কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বাড়ায় ইন্টারনেটে মিথ্যা সংবাদ গুজব আকারে ছড়াচ্ছে নানা কূচক্রি মহল। তাই সাইবার স্পেসে সচেতনতা বৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পালিত হতে যাচ্ছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে দেশে তৃতীয়বারের মতো দিবসটির প্রতিপাধ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের তাত্পর্য ও নানা কর্মসূচী তুলে ধরা হয়। এতে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এক নেতার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন এখন ১৬ কোটি মানুষের ভিশনে পরিণত হয়েছে। ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, সেটা ২০০৯ সালে পরিণত হয় সরকারের ভিশনে। তার ঠিক এগারো বছর পর এসে সেই ভিশন এখন দেশের ১৬ কোটি মানুষের ভিশনে পরিণত হয়েছে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ বাংলাদেশের বাঙালি জাতীর জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেছিলেন। সেটিই ছিল ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী একমাত্র রূপকল্প। সেই রূপকল্প নির্বাচনী ইশতেহারের প্রচলিত ধারণাকে পরিবর্তন করে দিয়েছিল।

পলক বলেন, সেই রূপকল্পটির নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘রূপকল্প ২০২১’। উনি যেটি তুলে ধরেছিলেন সেটি হচ্ছে, ২১ সাল যখন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে তখন বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ। যা তিনি তরুণদের উত্সর্গ করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং তার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আমরা কাজ করে চলেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, কিভাবে প্রযুক্তির সহায়তায় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। কিভাবে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।

এবারের জাতীয় ডিজিটাল দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ১২ তারিখ সকাল সাতটায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে পুষ্পস্তবক অর্পণ দিয়ে শুরু হবে দিনের কার্যক্রম। এরপর সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে একটি র্যালি বের হবে। যা খামারবাড়ি মোড় ঘুরবে। র্যালিতে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীসহ আরও অনেকে। এরপর বিকেল তিনটা থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসার্ট। এছাড়াও সারা দেশেই র্যালির পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য একটি শপথ অনুষ্ঠান। সেমিনার, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন, কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *