বাংলাদেশ এত সুন্দর স্টেডিয়ামে খেলবে !

খেলার খবর : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলো স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ হলেও, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি স্টেডিয়াম কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে সঠিক পথে রাখা যায় তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত হতে পারে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসসিএ)।এসসিএ স্টেডিয়ামটি রাজকোট শহরের কিছুটা বাইরে। ভেতরটা দেখলে মনে হবে মাঠে সবুজ কার্পেট পেতে রাখা হয়েছে। নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ স্টেডিয়ামটিকে একেবারেই ঝকঝকে তকতকে করে রেখেছে।

সিএসএতে মাঝখানে রয়েছে ১২টি উইকেট। আর তাদের নেট অনুশীলন স্থলটি হচ্ছে ভারতের মধ্যেই সর্ববৃহৎ ভেন্যুগুলোর একটি। যেখানে অনুশীলনের জন্য ব্যাটসম্যানদের জন্য রাখা হয়েছে ২৮টি উইকেট। বোলাররাও সেখানে তাৎক্ষণিক অনুশীলন করতে পারেন। সিএসএর স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমটি হতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) জন্য একটি ভালো উদাহারণ। বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে বেশি সংখ্যক ম্যাচ আয়োজন করতে হয় বলে বিসিবির জন্য স্টেডিয়ামের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে যায়। তবে সিএসএর জন্য সে রকম কোনো সমস্যা নেই।

এটি জনপ্রিয় কোন স্টেডিয়ামও নয়। কারণ তারা দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন করেছে মাত্র। সিএসএর সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা বাংলাদেশ দলের ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন সব কিছু সঠিক রাখতে এজেন্সির মাধ্যমেই এই স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। স্টেডিয়ামটি দেখভালের জন্য ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআইর কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন। তারাই এজেন্সির মাধ্যমে স্টেডিয়ামটির পরিচর্যা করেন এবং এটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখেন। স্টেডিয়াম নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠলে এর দায়ভার তাদেরকেই নিতে হয়।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের হিমাংশু সাহা বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকেই আইপিএলের ম্যাচসহ সব ধরনের ম্যাচের জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত হয়ে রয়েছে এই স্টেডিয়ামটি। এখানে দুটি টেস্ট ও বেশ কয়েকটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো রাজকোটের এই স্টেডিয়ামে খেলতে এসেছে বাংলাদেশ। তাই অ্যাসোসিয়েশন ও দর্শকদের মধ্যেও বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখানে হাউজকিপিংয়ের কাজের জন্য কিছু এজেন্সি রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে স্থায়ী কিছু গ্রাউন্ড কর্মচারী।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে ১৫ থেকে ২০০ জন লোক কাজ করে। আসলে আমাদের ঘরোয়া মৌসুমটি বেশ দীর্ঘ। এখানে প্রচুর সংখ্যক ঘরোয়া ম্যাচের আয়োজন করা হয়। তাই রাজকোটে আমাদের তিন চারটি মাঠ রয়েছে। বছরের মধ্যে অন্তত ২০০ দিন এই মাঠগুলো ব্যস্ত থাকে। আমাদের প্রচুর সংখ্যক, পুরুষ, নারী এবং বয়স ভিত্তিক বালকদের টুর্নামেন্ট রয়েছে। যা অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-২৩ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফরমেটের ক্রিকেট আয়োজিত হয় এখানে। ফলে প্রচুর ঘরোয়া ম্যাচ থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *