অনলাইন ডেস্ক : চীনের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। এ ভাইরাস ইতোমধ্যেই বিশ্বের অন্তত ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বে ৬ লাখ ১৪ হাজার ১৫৮ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ২৩৯ জন। আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৭১ মানুষ।
এদিকে, করোনায় আতঙ্কে নাকাল ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, দেশটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা, সরকার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস মোকাবেলার।
এর আগে, করোনা মোকাবেলায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে গৃহবন্দিত্বের ১২ দিন পার করেছেন ফ্রান্সবাসী। ফের শুক্রবার থেকে লকডাউনের সময় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এদোয়ার্ড ফিলিপ।
করোনা নিয়ে রাজধানী প্যারিসে শুক্রবার মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠক করেন ফিলিপ। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা এক মহাসংকটের মধ্যে আছি। যা বহুদিন স্থায়ী হতে পারে। দেশের জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
শনিবার সকাল পর্যন্ত ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৪১৪ জন এবং এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৯৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫ হাজার ৭০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮০৯ জন। এছাড়াও দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯৯ জন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার ফ্রান্সে জুলি নামে ১৬ বছরের এক কিশোরী করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্যারিসের নেকা হাসপাতালে মারা যায়। ধারণা ছিল, করোনাভাইরাসে বেশি বয়সের মানুষগুলোই আক্রান্ত হচ্ছে বা হবে, সে তুলনায় অল্প বয়স্কদের ঝুঁকি অনেক কম। ফ্রান্সের ১৬ বছরের জুলির মৃত্যু বিশ্ববাসীর সে ধারণা পাল্টে দিয়েছে।