অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্প্রতি চীনের মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান করেছে বাংলাদেশের মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা। আজ সোমবার ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে এই ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের ভিডিও কনফারেন্সে যাবতীয় প্রযুক্তিগত সুবিধা দিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
ভিডিও কনফারেন্সে আরও অংশ নেন- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম), স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং দেশের ছয়টি ভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা।
হুয়াওয়ে সাংহাই কনফারেন্স সেন্টার থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন চীনের হুয়াশান হসপিটাল অব ফুডান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজের প্রধান ডা. ঝাং উয়েনহং।
সোমবার হুয়াওয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চীনে করোনা মোকাবিলার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ডা. ঝাং উয়েনহং।
চীনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে ডা. ঝাং উয়েনহং বলেন, কোভিড-১৯ অল্প কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে এর মৃত্যুহার দুই থেকে তিন শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।
করোনা থেকে সুরক্ষায় সামাজিক দূরত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে ডা. ঝাং উয়েনহং বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু টেস্টিং কিটের সংকট রয়েছে, সেহেতু গণহারে করোনা পরীক্ষা না করাই ভালো বলে আমি মনে করি। টেস্টিং কিটগুলো বরং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য রেখে দেওয়া দরকার। তা না হলে হাসপাতালের মধ্যেই করোনা ছড়াতে শুরু করবে। ফলে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙে পড়তে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ফিভার ক্লিনিক’গুলোও রোগীদের স্ক্রিনিংয়ে সাহায্য করতে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে পরিচালিত আমাদের যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ দৃঢ়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে যতটা সম্ভব পাশে থেকে চীনও তার প্রতিদান দিতে চায়।
বৈশ্বিক মহামারি রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সম্প্রতি টেস্টিং কিট ছাড়াও প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি দিয়েছে চীন।