কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির অনুমোদন দিতে যাচ্ছে জাপান। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে মার্কিন এই ওষুধ ব্যবহারের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কভিড-১৯ এর সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসাবে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির জন্য একটি বিশেষ অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে দেশটি রাষ্ট্রায়ত্ব গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে।
কোন সূত্র উল্লেখ না করে এনএইচকে জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদনের প্রক্রিয়াটি শেষ হতে পারে। জাপানের এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো যখন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধটির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে এটা দারুন কাজ করছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন কম্পানি গিলেড সায়েন্স ইনকোরপোরেশন রেমডেসিভির নামক ওষুধটি তৈরি করেছে। ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও হয়েছে।
যদি অনুমোদন হয়ে যায় তাহলে জাপানে কভিড-১৯ চিকিৎসায় রেমডেসিভির হবে প্রথম সরকার অনুমোদিত ওষুধ। প্রাথমিকভাবে এটি সীমিত পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে এবং শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন হাসপাতালগুলোতে পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, কভিড-১৯ চিকিৎসায় সম্ভাবনা দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘রেমডেসিভির’ ওষুধ! আশাবাদী হওয়াই যায়। যুক্তরাষ্ট্রের স্যান অ্যান্টোনিও শহরসহ বিশ্বের কয়েকটি স্থানে এক হাজার রোগীর উপর চালানো ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় এটি প্রাথমিক সাফল্য দেখিয়েছে। এই ওষুধ ব্যবহারে কভিড-১৯ রোগীরা ৩১ শতাংশ পর্যন্ত দ্রুত আরোগ্য পেয়েছেন। রেমডেসিভির যে সব করোনা রোগীদের দেয়া হয়েছে তারা গড়ে ১১ দিনে সুস্থ হয়েছেন। যেখানে অন্য ওষুধ গ্রহণকারীরা সুস্থ হয়েছেন গড়ে ১৫ দিনে। এছাড়া রেমডেসিভির ব্যবহারে মৃত্যুর হার ৮ শতাংশ, অন্য ওষুধের ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ।
সূত্র- এনএইচকে।