যেভাবে সহজেই মাস্ক জীবাণুমুক্ত করা যায়

অনলাইন ডেস্ক : দৈনন্দিন জীবনে মাস্কের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না।  করোনা থেকে বাঁচতে এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। বিশেষজ্ঞরাও করোনা ঠেকাতে এই মাস্কের ভূমিকার কথা বারবার তুলে ধরেছেন। যদিও এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক একবার ব্যবহারের পর দ্বিতীয়াবার ব্যবহার করা ঠিক না তবুও মাস্কের স্বল্পতার কারণে বেশিরভাগ মানুষ একাধিকবার একটি মাস্ক ব্যবহার করছে।  কিন্তু এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক কিভাবে পরিষ্কার করতে হবে, ব্যবহারের পর কিভাবে সংরক্ষণ করতে হবে তা অনেকেরই অজানা। মাস্ক কিভাবে জীবাণুমুক্ত করা যায়, দীর্ঘসময় ব্যবহার করা যায় এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন।

যেভাবে মাস্ক জীবাণুমুক্ত করা যাবে:

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের একদল গবেষক মাস্ক কিভাবে জীবাণুমুক্ত করে একাধিক বার ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেছেন। তাপ দেওয়ার মাধ্যমে মাস্কের জীবাণু মরে যায় এবং এতে করে নিশ্চিন্তে ওই মাস্ক পুনরায় ব্যবহার করা যায়।  বাড়িতে ইস্ত্রি বা ওভেনের মাধ্যমে খুব সহজে এ কাজ করা যেতে পারে।এতে করে চিকিৎসক ও নার্স বিশেষ করে যারা করোনা রোগীর সেবায় নিয়োজিত তারা একাধিক মাস্ক কেনার সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।

অধিক তাপমাত্রা করোনা ধ্বংস করতে পারে?

তাপ দিয়ে করোনার জীবাণু ধ্বংস করা যায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি তাপ ও আদ্রতার সংমিশ্রণের অভিনব কায়দায় জীবাণু ধ্বংস করা হয়। আমাদের হাঁচি বা কাশি থেকে যে ড্রপলেট মাস্কে ছড়ায় তার জীবাণু থেকেই যায়। এক্ষেত্রে ৩০ মিনিট ধরে তাপ দিলে মাস্ক জীবাণুমুক্ত হয় বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

মাস্ক বিশুদ্ধ করে একাধিকবার ব্যবহার করা যেতে পারে:

অধিক তাপ যেমন জীবাণু ধ্বংস করতে পারে কিন্তু এতে করে মাস্কের ফিল্টার করার ক্ষমতাকে দূর্বল করে দেয়। এজন্য ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং শতভাগ আদ্রতায় মাস্ক বিশুদ্ধকরণ করতে হবে। এভাবে কমপক্ষে ২০ বার ওই একই মাস্ক ব্যবহার করা যায়। এই ভাইরাস ধ্বংস করার উপায়টি অন্যান্য ভাইরাস যেমন চিকুনগুনিয়া ধ্বংসের জন্যও কার্যকর হতে পারে।

মাস্ক যেভাবে সুরক্ষিত রাখা যায়:

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জরুরী জিনিস হলো মাস্ক। তবে কোথায় মাস্ক রাখা হচ্ছে কিভাবে রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। মাস্ক ব্যবহারের আগে পরে অবশ্যই হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাত ধোওয়া সম্ভব না হলে স্যানিটাইজ করতে হবে। মাস্ক পরা এবং খোলার সময় পাশের ফিতা ধরতে হবে। কোনভাবেই মাস্কের সামনের অংশে হাত দেওয়া যাবে না। মাস্ক পরার পর নাক ভালোভাবে ঢাকা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

মাস্ক ব্যবহারের পর একটি নির্ধারিত জায়গায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে অথবা কাগজের ব্যাগের মধ্যে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *