দ্রুতগতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু

অনলাইন ডেস্ক : দ্রুতগতিতে পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে যাবে একটি গ্রহাণু। আকারে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকাশচুম্বী অট্টালিকা দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার চেয়েও বড়। এই গ্রহাণুর নাম দেয়া হয়েছে ২০০০ ডব্লিউও১০৭। এটি লম্বায় ৮০০ মিটারের বেশি উঁচু এবং প্রস্থে ৫০০ মিটারের বেশি চওড়া।

রবিবার যে কোনো সময়ে পৃথিবীর একেবারে কাছ দিয়ে এই গ্রহাণুর চলে যাওয়ার কথা। এই মহাজাগতিক ঘটনার আগাম বার্তা দিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খুব দ্রুতগতিতে এই গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে চলে যাবে।

ঘণ্টায় ৯০ হাজার ১২৪ কি.মি. গতিতে গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে বলে জানিয়েছে নাসা। সাধারণত পৃথিবীর কক্ষপথে এত বড় আকারের কোনও গ্রহাণু এলে বিপদের আশঙ্কা থাকে।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুর ফলে এবার পৃথিবীতে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। এটি কাছ দিয়ে গেলেও পৃথিবীতে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনাও নেই বলে জানানো হয়েছে।

নাসা বলছে, পৃথিবী থেকে ৪৩ লাখ ২ হাজার ৭৭৫ কিমি দূর দিয়ে চলে যাবে এই গ্রহাণু। এর আকার ১২ হাজার থেকে ২৫ হাজার ৭০০ ফুটের মধ্যে। ব্যাস ২ হাজার ৬৯০ ফুটের মতো।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো প্রদেশে এই গ্রহাণুটি আবিষ্কার করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথ দিয়ে গেলেও সেটিকে খালি চোখে দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে নাসা। তবে ছোট টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখা যেতে পারে।

নাসা বলছে, মহাকাশে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৩১ হাজার ৪৮৮টি গ্রহাণু তৈরি হয়েছে। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে সৌরজগৎ তৈরি হওয়ার শুরুর দিকে এই পাথুরে, বাতাসবিহীন গ্রহাণুগুলো তৈরি হয়। এই গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর কক্ষপথে এলে কিছুটা প্রভাব ফেলেই। তবে এবার পৃথিবীতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *