কুষ্টিয়াতে তৈরী এ চিপস গুলো খাঁই কারা ?

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আবাসিক এলাকার মধ্যে পরিবেশের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই রাতারাতি গড়ে উঠেছে এ সকল চিপস কারখানা। দিন অথবা রাত সব সময় বিকট শব্দে কারখানা গুলো চিপস বানায় । 

স্থানীয় বাসিন্দারা এ সকল চিপস কারখানা মালিকদের কাছে কোনো অভিযোগ দিলে তারা বলেন ,আমরা বড় বড় রাজনৈতিক নেতা,প্রশাসন,সাংবাদিক ম্যানেজ করে চলি আর তোমরা ঝামেলা করছো ।স্থানীয়রা বলেন ,এখানে প্রায় ৩,৪ টি কারখানা আছে কোন কারখানা কখন চিপস তৈরী করে তা আমরা জানতে পারিনা কারন মাঝ রাতেও করখানা চলার নজির আছে । প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ,রাতে চিপস বানায় এবং অন্য যায়গায় নিয়ে তা বিক্রি করে ।


অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করছে শিশুদের লোভনিয় এসকল চিপস। সাধারনত কি কি উপাদান দিয়ে এসব চিপস তৈরী করে তা এখনো কেউ জানে না । আবার গেটার কুষ্টিয়ার সব যায়গায় এসব চিপসের খুব চাহিদা। এদিকে প্রশাসন নিরব ভূমিকায়। দীর্ঘ দিন ধরে এই নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে চিপস।

মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয় , এই চিপস শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ এই চিপস খেলে ডাইরিয়া ,উচ্চরক্তচাপ,স্টোক,অলসার এর মত রোগ হতে পারে বলে জানান।
আটা-ময়দার সঙ্গে অপরিশোধিত লবন ,কাপড়ের রং মিশিয়ে তৈরি করা হয় এসব রিং চিপস। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা মাঠে রোদে শুকিয়ে প্যাকেট জাত করে বাজারে বিক্রি করা হয়। আর শিশুরাই এ ভেজাল চিপসের প্রধান ভোক্তা। সরেজমিনে লাহিনী বটতলা এলাকায় চিপস এর কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, এ কারখানার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন নেই। কারখানার খোলামাঠে নানা রঙের রিং চিপস রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। চারদিক থেকে ধুলাবালি এসে পড়ছে। শ্রমিকেরা পায়ে ঠেলে রিং চিপস রোদে মেলছেন। সেখানে ডাস্টবিনের দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার হচ্ছে ওই চিপস তৈরীর। শুধু তাই নয়, চিপস এর কাঁচামাল তৈরী করার সময় গ্লোবস বা শ্রমিক পোশাক ছাড়াই খালি হাতে তৈরী করছে। চিপস তৈরীর মেশিনের নিচেই স্যাতস্যাতে কাঁদা দেখা গেছে। তার পাশে একটি বালতিতে দূর্গন্ধযুক্ত ময়দা মাখানো পড়ে আছে। যেখানে আটা মাখানো হচ্ছে তার পাশে পড়ে রয়েছে সিগারেটের ছাই ও প্যাকেট। কারখানার এক কর্মচারী জানান, এভাবেই দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে আমরা চিপস তৈরী করে আসছি। এতে আমাদের কেউ কোন বাধা দেয়নি। ক্রেতারা তেলে ভেজে এসব চিপস খান।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ,দেশনেত্রী শেখ হাসিনার শপ্নের বাংলাদেশে ,এসকল ভেজাল শিশু খাদ্য চিপস কারখানা দেখতে চাই না সাধারন ভুক্তভোগী মানুষ। এবং কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন এর কাছে কুষ্টিয়াবাসীর প্রানে দাবি কুষ্টিয়ায় ভেজাল শিশু খাদ্য কারখানা গুলো অইনের আওতায় এনে কঁঠোর ব্যবস্থা নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *