কুষ্টিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ২

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

 

কুষ্টিয়ায় দুই সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও মোবাইলে তার ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী।

 

বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে শহরের একতারা মোড়ের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টায় ঈদগা পাড়া থেকে ওই ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শহরের স্যার ইকবাল রোডের বাসিন্দা আব্দুল করিমের ছেলে রবিউল ইসলাম সোহাগ (২০) ও আড়ুয়াপাড়া এলাকার আব্দুল সড়কের বাসিন্দা শফিউল ইসলামের ছেলে শাকিল আহমেদ (২২)।

 

পুলিশ ও নারীর স্বজনরা জানান, প্রবাসীর স্ত্রী ওই নারী শহরের একটি কোচিংয়ে বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিদিন পড়াতে যান। বুধবার বিকেলে সন্তানকে কোচিংয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আগে থেকে পরিচিত এক নারী তাকে বলেন, এখানে ২ ঘণ্টা বসে না থেকে তার সঙ্গে শহরে যেতে। পরে ওই নারী তাকে সঙ্গে নিয়ে শহরের এনএস রোডে একটি বাসায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওই নারীর মোবাইলে ফোন আসার পর তিনি দরজার শেকল আটকে দিয়ে বাইরে চলে যান। এসময় পাশের কক্ষে অবস্থান করা দুই যুবক এসে নারী ও তার ৪ বছরের শিশু পুত্রকে মারধর করেন। পরে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন দুই যুবক এবং এর ভিডিও ধারণ করে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন।

 

স্বজনরা আরও জানান, পরে সেই ভিডিও ওই নারীর ভাসুরের কাছে পাঠানোর কথা বলে হুমকি দেন। এসময় ভুক্তভোগী তাদের হাত-পা ধরে বারবার মাফ চান। এক পর্যায়ে টাকা দেওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর বাড়িতে ফিরে বিষয়টি তার স্বজনদের জানান।

 

ওই নারী জানান, বাড়িতে আসার পর একটি মোবাইল নাম্বার থেকে তার কাছে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ সময় তিনি নিজের মোবাইলে কলটি রেকর্ড করে রাখেন। পরে মডেল থানা পুলিশ ও র‌্যাবকে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই যুবকের অবস্থান নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈদগা পাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

 

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, ‘এক নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই নারী মামলা করেছেন। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *