অনলাইন ডেস্ক :
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় দফার সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই রোববার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন শপিংমল ও বিপনিবিতাণ।
লকডাউনের মধ্যে বাড়ির বাইরে বের হতে সাধারণের মুভমেন্ট পাস বাধ্যতামূলক। এই পাস না থাকলে ভ্রাম্যমান আদালতের সাজা গুনতে হচ্ছে।
এমতাবস্থায় শমিংমলে যেতে হলে মুভমেন্ট পাস কি লাগবে? আজ শপিং মল খোলার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তাতে এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে পুলিশ সদর দফতর থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী লকডাউন সময়ে মার্কেটে যেতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের লাগবে মুভমেন্ট পাস। মুভমেন্ট পাস নিয়েই শপিংমলে যেতে হবে।
পুলিশ সদর দফতরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, লকডাউন চলাকালে যারা ঘরের বাইরে বের হবেন, তাদের সবার মুভমেন্ট পাসের প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত শপিং ও কেনাকাটার জন্য যারা বের হবেন তাদের বিষয়েও একই নির্দেশনা রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুভমেন্ট পাসের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণ করছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পরবর্তীতে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শপিংমল খোলার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে সংক্রমণ এড়াতে অতি প্রয়োজন ছাড়া শপিংমলে না আসার জন্য জনসাধারণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে নির্দেশনা জারি করা হল, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার/সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ যা ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকছে।
এ লকডাউনে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল।
তবে শেষ দফায় লকডাউন ঘোষণার আগে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনায় ও ঈদ সামনে রেখে তা শিথিল করার ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে দোকানপাট খোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
সূত্র: যুগান্তর