ন্যাশনাল ডেস্ক : গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে জনগণকে রেহাই দেওয়াসহ অসহায় শিক্ষকদের প্রতি মানবিকতার হাত বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, এমপিওভুক্তি বঞ্চিত শিক্ষকরা আন্দোলন করছে। তারা বেতন পাচ্ছেন না। এই অসহায় শিক্ষকদের প্রতি মানবিকতার হাত বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাই। শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে কৃষকদেরকে হান্ড্রেড পার্সেন্ট ভর্তুকি দিয়ে উৎসাহি করার দাবি জানান তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান। রওশন এরশাদ আরো বলেন, হঠাৎ করে গ্যাসের দাম কেন বাড়ানো হলো। আমি শুনেছি, আমরা উন্নয়ন চাই, কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়াতে চাই না। এটা জনগণের কথা আমার কথা না। যেদিন বাজেট পাস হলো সেদিন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো। গণশুনানির পর দেখা গেল গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। আমরা যখন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিলাম, তখন ভারতে গ্যাসের দাম কমিয়ে দিল। ঘরে রান্নার গ্যাসের দাম ১০০ টাকা কমিয়ে দিল। তিনি বলেন, আমাদের তো প্রাকৃতিক গ্যাস আছে। সেগুলো উত্তলনের ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। হয়তো ২/৩ বছর লেগে যাবে। আমাদের গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে যদি কোনো কিছু করা যায়। জনগণকে একটু রেহাই দেন। অনেক জনগণ আছে যাদের এত দাম দিয়ে গ্যাস কেনার সামর্থ নেই। জনগণকে একটু রেহাই দেওয়া উচিত।বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে আমাদের ছেলেমেয়েরা অন্য রকম জগত তৈরি করছে। এটার হাত থেকে যদি তাদেরকে বাঁচানো না যায় তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে তারা কীভাবে নেতৃত্ব দেবে। এটা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের রাস্তা খুঁজতে হবে। অনেক জায়গা আছে, ফেসবুক। তারা যদি সারারাত জেগে স্মার্ট ফোন দেখে। ঘুম নাই, লেখাপড়া নেই। একেকটার চেহারা কেমন হয়ে যায়।
রওশন এরশাদ জাতীয় অর্থ বছর পরিবর্তনের দাবি করে বলেন, আমাদের দেশে যখন আমরা বাজেট পাস করি তখন থাকে ভরা বর্ষা। অর্থবছর পরিবর্তন করলে উন্নয়নে কাজে লাগবে। পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের জলবায়ুর সঙ্গে মিল রেখে অর্থ বছর পরিবর্তন করেছে। রওশন এরশাদ আরো বলেন, আমাদের ডাক্তার আছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ যন্ত্রপাতি আমাদের আছে। কিন্তু ডাক্তাররা রোগীদের সময় দেন না। ডাক্তাররা সময় দেন না বলে বেশিরভাগ মানুষ দেশের বাইরে চলে যান। এ সময় অবিলম্বে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ যেন বাজারে বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিরোধী দলীয় উপনেতা। তিনি বলেন, খাদ্য ভেজার এখনো বন্ধ হয় নাই। ঔষধ আর খাদ্য মানুষের অনেক বেশি মৌলিক উপাদান। এই দুটি উপাদান ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না, চলতেও পারে না। রওশন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে কৃষকদের হান্ড্রেড পার্সেন ভর্তুকি দেয়। কৃষকদেরকে হান্ড্রেড পার্সেন্ট ভর্তুকি দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে।