অনলাইন ডেস্ক :
ইভ্যালির ৫৪৪ কোটি টাকা দায় আছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কম্পানিটি। তবে দায় বিবরণীতে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
ইভ্যালি তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির যে হিসাব দিয়েছে, তাতে এর মোট সম্পদমূল্য ১২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ কম্পানিটির সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করলে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের দেনার মাত্র ২২.৩০ শতাংশ পরিশোধ করা সম্ভব।
ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ ৫৪৪ কোটি টাকা। এটি গত জুন মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন রিপোর্টে উল্লেখ করা ইভ্যালির দেনার তুলনায় ১৪০ কোটি টাকার বেশি।
ইভ্যালির ব্যালান্সশিট অনুযায়ী, কম্পানিটির মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫.৮২ কোটি টাকা। আর স্থায়ী সম্পদ হিসেবে কম্পানিটির প্রপার্টি, প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি রয়েছে ১৪.৮৭ কোটি টাকার। এর বাইরে কম্পানির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৯০.৬৬ কোটি টাকা।
মোট দেনার তুলনায় ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদমূল্য বাদ দিলে ঘাটতি দাঁড়ায় ৪২২ কোটি টাকারও বেশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া কম্পানির ব্যালান্সশিটে ঘাটতির সমপরিমাণ অর্থ বা ৪২২.৬২ কোটি টাকা কম্পানির ব্র্যান্ডভ্যালু হিসেবে দেখিয়েছে ইভ্যালি।