নিউজ ডেস্ক :
ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত নড়াইল।
নড়াইল পৌর এলাকার মহিষখোলা সার্বজনীন দুর্গামন্দির আর মসজিদ একই স্থানে। শহরের পুরাতন সাবরেজিস্ট্রি এলাকার একই চত্বরের দুই পাশে আলাদা দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
মসজিদের মুয়াজ্জিন ও খাদেম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের আজান ও নামাজের সময়সূচি তৈরি করেছেন তারা। সেই মতে পূজা চলে, আমরাও নামাজ পড়ছি নির্বিঘ্নে।
মন্দিরের সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক প্রলয় কুমার ভৌমিক বলেন, আমাদের নদীর বাধাঘাটে আমরা পূজার সরঞ্জাম ধুয়ে পবিত্র করি, মুসলিম ভাইয়েরা একই জায়গায় ওযু করেন। এটা আমাদের সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটা যুগ যুগ থাকুক তাই চাই।
মন্দিরের পুরোহিত অমর কৃষ্ণ সমাদ্দার বলেন, তাদের নামাজ আর আমাদের পূজার নাচ-গানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না, বরং মুসলিমরা আমাদের ওপর কেউ ঝামেলা করতে আসলে তা প্রতিহত করে। আমরা যুগ যুগ ধরে একসাথেই চলছি।
মন্দিরে পূজা দেখতে আসেন মুসলিম নারীরা। সন্তান নিয়ে পূজার মেলায় ঘুরতে আসা সাগরিকা বলেন, আমাদের একই স্থানে পূজা আর নামাজ চলে, এটাই আমাদের নড়াইলের গৌরব। আমরা এটি নিয়ে গর্ববোধ করি।
পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন এই বিষয়ে বলেন, সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের নড়াইল। এটাই বাংলাদেশের চিত্র হওয়া উচিত। তারা নিজেরাই নিজেদের সব ব্যবস্থা ঠিক করেন।