অবরোধে নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান

অনলাইন ডেস্ক :

 

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। তাতে সমর্থন দিয়েছে সমমনা দলগুলো। হরতাল কিংবা অবরোধে বাসের পর নতুন করে ট্রেনে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিরাপত্তাহীনতায় নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঠেকাতে দেশজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।

 

তারা জানান, কেপিআইভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় সক্রিয় থাকতে ও সিসিটিভি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে নির্দেশনা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের চাহিদায় রেলপথের নিরাপত্তা জোরদার ও নাশকতা ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দুই হাজার ৭০০ আনসার সদস্য বিভিন্ন রুটে মোতায়েন করা হয়েছে।

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অসহযোগ আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি বাসে অগ্নিসংযোগ করে ও আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না৷

 

হরতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পুলিশের কোনো বক্তব্য নেই৷ কিন্তু কেউ যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে মানুষের প্রাণনাশের চেষ্টা করে, জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত করে ও বাসে অগ্নিসংযোগ করে মানুষকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না৷

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি গণতান্ত্রিক অধিকার। তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কোনো স্পষ্ট করে বলতে চাই বিগত কয়েক মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। অনেকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

 

তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড কখনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। নাশকতার বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।

 

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারা দেশে রোবাস্ট প্যাট্রলিং ও টহল কার্যক্রম জোরদার করার কথা জানিয়েছে র‍্যাব। ইতোমধ্যে প্রতিটি বড় বড় বাস টার্মিনাল ও বিশেষ করে রেল স্টেশনগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব।

 

এ ব্যাপারে র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা প্রদানে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে টহলের মাধ্যমে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেবে র‍্যাব। যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে র‍্যাবের গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *