আইসিইউতে রোগী ভর্তি নিয়ে ভারতে নতুন নির্দেশিকা

অনলাইন ডেস্ক :

 

রোগী কিংবা তাঁর আত্মীয়রা যদি না চান, তবে কোনো গুরুতর অসুস্থ মানুষকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ) ভর্তি করাতে পারবেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের আইসিইউতে ভর্তি করানো নিয়ে সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় এমনটাই জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ই আইসিইউতে রোগী ভর্তি করানো নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে দ্বিমত দেখা দেয়।এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

 

সব মিলিয়ে ২৪ জন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে তৈরি হওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনো গুরুতর অসুস্থ রোগীর আর কোনো চিকিৎসা সম্ভব নয় অথবা চিকিৎসার সুবিধা নেই—এমন অবস্থার সৃষ্টি হলে ওই রোগীকে আইসিইউতে রাখা নিরর্থক। একইভাবে উপযুক্ত চিকিৎসার পরও রোগী যদি ‘প্রত্যাশিত সাড়া’ না দেন সে ক্ষেত্রেও তাকে আইসিইউতে রাখার কোনো মানে হয় না বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকা। তবে সবচেয়ে যে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা হলো, কারো বাঁচার ইচ্ছে আছে, কিন্তু তিনি আইসিইউতে ভর্তি হতে চান না, এমনটা হলেও ওই রোগীকে আইসিইউতে রাখতে পারবেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

এ ছাড়া মহামারি কিংবা কোনো বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে আইসিইউতে রোগী ভর্তি করানোর ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। 
আইসিইউতে ভর্তির জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব কোন রোগীদের দেওয়া হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযাযী, অচৈতন্য অবস্থায় আছে, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে এবং শ্বাসযন্ত্রের সহায়তা প্রয়োজন—এমন রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করানো যেতে পারে। আইসিইউতে ভর্তির মানদণ্ড হিসেবে রয়েছে কার্ডিওভাস্কুলার বা শ্বাসযন্ত্রের অস্থিরতার মতো কোনো বড় শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হয়েছে বা বড় অস্ত্রোপচার করতে হবে—এমন রোগী।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা অনুসারে, আইসিইউতে ভর্তি করানোর জন্য রোগীর রক্তচাপ, নাড়ির হার, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরণ, হৃদস্পন্দন, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, প্রস্রাব হচ্ছে কি না—এই সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কিন্তু পরিস্থিতি যদি এমন হয়, রোগী বা রোগীর আত্মীয়রা আইসিইউতে ভর্তি হতে চান না বা করাতে চান না, সে ক্ষেত্রে তাঁদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *