কুষ্টিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে খুশি অসহায়রা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

 

অন্যের বাড়িতে আশ্রয়ে অথবা ভাড়া থেকে অনাহারে অর্ধাহারে কেটেছে দিন ছিলনা একখন্ড জমি, ছিলনা মাথা গুজার ঠাঁই। ঈদের আনন্দ কি, তা তাদের ছিলনা। সেই অসহায় ছিন্নমুল মানুষগুলি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি ও ঘর পেয়ে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার চেয়েও বড় প্রাপ্তি মনে করেন।

 

নিজের ঘরে ঈদ যা ছিল কল্পনাতীত। এ যেন অন্যরকম আনন্দের অনুভূতি। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একখন্ড জমি ও ঘর পেয়েছে ১৯০টি পরিবার। তাদের সবার ঈদ হবে আনন্দের ও খুশির। এমন আনন্দ বিরাজ করছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলাসহ বাকি ৪টি উপজেলার আশ্রয়ণ পল্লীর বাসিন্দাদের মাঝে।

 

দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ওমরপুর আশ্রয়ণ পল্লী। সবুজ ক্ষেতের মাঝে সারি সারি ঘরগুলো বাংলাদেশের এক নির্মল প্রতিচ্ছবি। আর সারিবদ্ধ ঘরে থাকা মানুষগুলির কয়েক বছর আগেও ঈদের আনন্দ ছিল স্বপ্নের মত। আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একখন্ড জমিসহ উপহারের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ ও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে। সন্তানদের জন্য ঈদের উপহার নতুন পোষাক দিতে পেরে। তাইতো তারা প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় করেছেন প্রার্থনা। এমনটি জানিয়েছেন ওহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রিমা খাতুন। একই অভিব্যক্তি মনিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আফসানা খাতুনের।

 

দু’বছর আগেও যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা ছিল, তারাই আজ নিজের বাড়ির মালিক হয়েছেন। সন্তানদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য ঈদে নতুন পোষাক দিতে না পারার যাতনা ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী। আজ তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে। পরিবারের সদস্যদের ঈদে নতুন পোষাক দিতে পেরে নিজেরাও খুশি। খুশিতে আনন্দময় সন্তানেরাও বলে জানিয়েছেন ওমরপুর আশ্রয়ণ পল্লীর হানিফ ও তার স্ত্রী দিতি খাতুন এবং সন্তান দিশা খাতুন।

 

দৌলতপুরে ১৯০টি পরিবারকে প্রধান মন্ত্রীর উপহারের জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। তারা নিজ নিজ ঘরে আনন্দে ঈদ উদযাপন করবে এমটি জানিয়েছেন দৌলতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান।

 

ধনী গরীব সবার জন্য ঈদ হোক আনন্দের। একসময় আশ্রয়হীন ও ঠিকানা না থাকা পরিবাগুলির ঠিকানা পাওয়ায় তাদের মাঝে বইছে বাড়তি আনন্দ। আর এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *