

অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক দিনে আরও ৫১ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে। এছাড়া অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন আরও ৮ জন।
গাজা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি হামলায় এক হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স বলেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অবরুদ্ধ সড়ক এবং টানা গোলাবর্ষণের কারণে। অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, কিন্তু জরুরি উদ্ধারকর্মীরা তাদের খোঁজে তেমন কোনো অগ্রগতি করতে পারছেন না।ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার জেতুন ও সাবরা এলাকার এক হাজারেরও বেশি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। সামরিক ট্যাংক নিয়ে ইসরায়েলি সেনারা গাজা শহরের সাবরা এলাকায় প্রবেশ করেছে। ফলে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণের নিরাপদ এলাকায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, গাজার কোথাও নিরাপদ স্থান নেই। বেসামরিক মানুষরা বোমা হামলার শিকার হচ্ছেনঘরবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র, এমনকি ত্রাণ শিবিরও লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। এতে শহর পুরোপুরি ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ অধিকারকর্মী মনে করছেন, ইসরায়েলের লক্ষ্য হতে পারে পুরো গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করা।সিভিল ডিফেন্স জানাচ্ছে, গাজার হাসপাতালে চরম চাপ বিরাজ করছে। চিকিৎসকরা আহতদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে ত্রাণ পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।বিশেষ করে আল-জালাআ সড়কের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। উত্তর দিকের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও একাধিক ভবন ধ্বংস হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অনাহার ও অপুষ্টির কারণে নিহতের সংখ্যা মোট ২৮৯, যার মধ্যে ১১৫ জন শিশু। খাদ্য সংকট ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা ত্রাণের জন্য যেকোনো চেষ্টা করলেও, হামলার ভয়ে তাদের নিরাপদ সহায়তা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।













