

ডিপি ডেস্ক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে এক শিক্ষকের বাসা থেকে দুই ভরি সোনার গহনা, ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ নগদ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১ আগস্ট) মধ্যরাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া সংলগ্ন শিক্ষক কোয়ার্টারের প-৩৪ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি তার দুই মেয়েকে নিয়ে বাসায় থাকতেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রাত প্রায় দেড়টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ প্রচণ্ড গতিতে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। এই সুযোগে বাসার দরজার গ্রিল ভেঙে চোর বাসায় প্রবেশ করেন। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষক তার মেয়েদেরকে নিয়ে বাসার দুই তলায় ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় বাসায় থাকা দুইটি ল্যাপটপ, দুই ভরি সোনার গহনা, দুইটি মোবাইল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, কাপড়চোপড়সহ আরও অনেককিছু চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও বাসার সবকিছু এলোমেলো করে রেখে যায় তারা।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গতকাল আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে আমার বাসার দরজা ভেঙে বাসায় চোর প্রবেশ করে। এসময় আমার বাসায় থাকা দু’টি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ফোন, দুই ভরি সোনার গহনাসহ প্রায় নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এছাড়াও আমার ছেলে মেয়েদের স্কুল ব্যাগ, কাপড়চোপড়সহ অনেক কিছুই তারা নিয়ে গেছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার আইডি কার্ডসহ এনআইডি কার্ডও নিয়ে গেছে। তাদের নিয়ে আসা একটা স্ক্রু ডাইভার তারা রেখে গেছেন। এই ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ করেছি। পরে পুলিশ এসে তা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় এমন চুরির ঘটনা আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কোয়ার্টার থাকার প্রয়োজন নেই।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একটি টিম সেখানে গিয়েছিল, ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। আমরা এ ঘটনা নিয়ে কাজ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষক সকালেই আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এর পরই পুলিশ প্রশাসনেকে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আশা করছি মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরদের শনাক্ত করতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা।








