

অনলাইন ডেস্ক :
গাজা উপত্যকার দক্ষিণ অঞ্চলের খান ইউনিস শহরে প্রচণ্ড ঠান্ডায় আট মাসের এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার দুরাবস্থার সঙ্গে এবার তীব্র শীতের কঠিন পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো।
এলাকাটিতে তাপমাত্রা তীব্রভাবে কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাহাফ আবু জাজার নামের শিশুটির মৃত্যু হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই এলাকায় দুর্বল, অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান মুনির আল-বুরশ এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, বৃষ্টিতে ভেজা তাঁবুর ভেতরে আরও শিশু, বৃদ্ধ ও রোগী ঠান্ডায় মারা যেতে পারে। তিনি আরও জানান, নিম্ন তাপমাত্রা শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এর ফলে তীব্র কাঁপুনি, শরীরের তাপমাত্রার ব্যাপক ক্ষতি, শ্বাসযন্ত্রের অবস্থার অবনতি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।
বুরশ উল্লেখ করেছেন, তাঁবুর ভেতরের আর্দ্রতা এবং জমে থাকা নিউমোনিয়া ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করছে। এর ওপর রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ বা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
বুধবার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকা, দির আল-বালাহের আল-বাসা এবং আল-বারাকা, নুসেইরাতের সেন্ট্রাল মার্কেট এলাকা এবং ইয়ারমুক ও বন্দর (আল-মিনা) এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের অনেক তাবু বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মতে, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৭০০ বারের বেশি তা লঙ্ঘন করেছে। তখন থেকে অন্তত ৩৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং প্রায় এক হাজার জন আহত হয়েছেন।সূত্র: প্রেস টিভি














