যুক্তরাজ্যে আর পরিবার নিতে পারবেন না বিদেশি শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক :

 

যুক্তরাজ্যের নতুন শিক্ষার্থী ভিসার আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের আর সে দেশে নিতে পারবেন না। তবে স্নাতকোত্তর গবেষণা কোর্স করা বা সরকারের অনুদানের বৃত্তি পেয়ে কোর্স করা শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর নির্ভরশীল সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে পারবেন। নতুন নিয়ম চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।

 

বৈধ অভিবাসনের ঢল ঠেকাতে ২০২৩ সালে একটি আইন পাস করে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট।

সে আইনের অধীনে এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিবাসন সীমিত করার পদক্ষেপ হিসেবে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যোগটি যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কঠোর ভিসানীতির একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোস্টে বলেছে, ‘অভিবাসন সীমিত করার ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এখন থেকে নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীরা আর তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনতে পারবে না। তবে স্নাতকোত্তর গবেষণা বা সরকারি অর্থায়নে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ছাড় দেওয়া হবে।’ 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন।

 

২০২৩ সালের মে মাসে সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন।

নতুন এই নিয়মের ফলে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের যুক্তরাজ্যে আসা কমবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীসভার এক সদস্য। 

স্বরাষ্ট্র সচিব জেমস একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই সরকার অভিবাসন কমানোর জন্য ব্রিটিশ জনসাধারণের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা রেখেছে। আমরা দ্রুত এই সংখ্যা কমাতে, নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থাকে ঠিক রাখতে কঠিন পরিকল্পনা তৈরি করেছি। যা এই বছরজুড়ে কার্যকর হবে।’

 

জেমস আরো বলেন, এই পরিবর্তনের ফলে অভিবাসন দশ হাজারে দ্রুত নেমে আসবে।

যার ফলে ৩ লাখ মানুষ  যুক্তরাজ্যে আসতে পারবে না। সরকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে আনার জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কাজ করবে। যাতে মেধাবী শিক্ষাথীরা তাদের ওপর নির্ভরশীলদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসতে পারে পাশাপাশি অভিবাসনের মাত্রাও কমে।সূত্র: এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *