ন্যাশনাল ডেস্ক : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে উপকূলবর্তী সাতটি জেলা অতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৭ জেলা হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা।
ডা. মো. এনামুর রহমান জানান, শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত করতে পারে। এর কারণে ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় উপকূলবর্তী সব জেলা, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার জনগণকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এরইমধ্যে ‘বুলবুল’ দেশের উপকূলের ৫শ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছেছে। এটি ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের দিকে। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ওই সময় ‘বুলবুল’- এর কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ সতর্কবার্তায় জানানো হয়, ‘বুলবুল’- এর জন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সরকারি ২২টি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে