সারাদেশে আরও কমতে পারে তাপমাত্রা

অনলাইন ডেস্ক : গত দুইদিন কুয়াশা থাকার পাশাপাশি বৃষ্টি হলেও শনিবার সকাল থেকে কুয়াশা কেটে গেছে। তবে বেড়েছে ঠাণ্ডা।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার সারাদিন ধরেই প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকবে। সেই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাস।

আজ ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ১৩ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে এই শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, এখন যে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা চলছে, সেটা এই মাসের পুরোটাই, অর্থাৎ আরো কয়েকদিন থাকবে।
তিনি জানান, এখন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আশেপাশের এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে। সেটার প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও টের পাওয়া যাবে। আরো এক দুইদিন এই তীব্রতা থাকবে বলে তারা মনে করছেন। দেশের বেশিরভাগ স্থানে তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি কমে যেতে পারে। এ সময় সূর্যের আলো দেখার সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা নেই।

মনোয়ার হোসেন বলছেন, জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তারপরে আরেকটা শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এদিন সেখানে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

শৈত্যপ্রবাহের কারণে রংপুর ও রাজশাহীর জেলাগুলোতেও তীব্র শীত রয়েছে। এদিকে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে নিম্নবিত্ত মানুষজন চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। ঠাণ্ডার সঙ্গে গত কয়েকদিন বৃষ্টি যোগ হওয়ায় ছিন্নমূল ও ফুটপাতে থাকা মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

রাজধানী ঢাকাতেও অনেককে কাগজ ও অন্যান্য জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে তাপ পোহাতে দেখা গেছে। তবে শহর এলাকায় কুয়াশার দাপট কমলেও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো তা অব্যাহত রয়েছে। ফলে ফেরী ও নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন রাতেই মাওয়া ও পাটুরিয়ায় কুয়াশার কারণে কয়েক ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে, যার ফলে পদ্মা নদীর দুই পাড়ে তৈরি হচ্ছে যানজট। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *