কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লায় থানার পুলিশের এসআই এবং একই পরিবারের ছয়জনসহ পাঁচ উপজেলায় নতুন করে আরও ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বরুড়া থানা পুলিশের এক এসআই, লাকসাম পৌর এলাকার সাহাপাড়ায় একই পরিবারের ছয়জন, দেবিদ্বার স্বামী-স্ত্রী ও মা-মেয়েসহ ছয়জন, মনোহরগঞ্জে দুইজন এবং তিতাসে একজন।
এই নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৬৮ জনে। বুধবার দুপুরে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।
লাকসামে একই পরিবারের ছয়জনের আক্রান্তের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল আলী জানান, নোয়াখালীতে করোনায় মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আক্রান্ত লাকসাম পৌর সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা দুই সহোদরের মা, বাবা, দুই ভাইয়ের স্ত্রী এবং ১২ ও ১৪ বছর বয়সী দুই শিশু নতুন করে আক্রান্ত হয়।
বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত সুলতানা জানান, বরুড়া থানার এক এসআই এর করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বরুড়ায় ভাড়া থাকেন। তার বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে। আক্রান্ত পুলিশের এসআই‘র স্ত্রী এবং থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের পর্যায়ক্রমে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আহমেদ কবীর জানান, উপজেলার বাগুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শাহাজালাল মেম্বারের ছেলে বউ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একই গ্রামের করোনায় আক্রান্ত শিক্ষকের স্ত্রী এবং মেয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও নতুন করে উপজেলার নবিয়াবাদ গ্রামে স্বামী ও স্ত্রী এবং গুনাইঘর গ্রামে একব্যক্তি নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান, উপজেলার মৈশাতুয়া গ্রামে পূর্বে আক্রান্ত ব্যক্তির এক প্রতিবেশীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া নতুন করে উপজেলার বিপুলাসার গ্রামে নতুন করে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সরফরাজ হোসেন খান জানান, উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামে নতুন করে এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান জানান, এই পর্যন্ত ঢাকা পাঠানো এক হাজার ৬৭২ জনের নমুনার মধ্যে এক হাজার ৩৪৫ জনের রিপোর্ট এসেছে। নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশিরভাগ আক্রান্ত স্বজন থেকে আক্রান্ত হয়েছেন।