অনলাইন ডেস্ক : বছরের শুরুতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সারা বিশ্বেই আপত্কালীন পরিস্থিতি জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর চীনে তো বটেই, দেশটির বাইরেও করোনার পরীক্ষা করা হয়েছিল।
সেই সময় ১০ হাজার জনের পরীক্ষা করা হয়। সংক্রমিত হয়েছিলেন মাত্র ৯৮জন। তখন একটি মৃত্যুও হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণার পরও হুঁশ ফেরেনি কোনও দেশের। তার ফলস্বরূপ বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ৩৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম।
সম্প্রতি করোনা মোকাবেলায় চীনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এমন অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন একটি বিবৃতি দেন তিনি।
এতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান দাবি করেন, এই মারণ ভাইরাস মোকাবেলার জন্য রাষ্ট্রনেতাদের অনেক আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেন অধিকাংশ রাষ্ট্রনেতারাই। আর সেই কারণেই তার ফল ভুগতে হচ্ছে। আর যেসব দেশ সতর্কবার্তা মেনে চলেছে, তারা তুলনামূলক অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে।
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শ মেনেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাই সারাবিশ্বে জরুরি অবস্থাই জারি থাকবে বলে তিনি ঘোষণা করেছেন।