কুষ্টিয়ার রাস্তা ইজি বাইক,মোটর সাইকেল ও রিস্কার দখলে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : সাংস্কৃতিক রাজধানী আমাদের এই কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া জেলায় প্রায় ২২ লক্ষ মানুষের বসবাস ।এই কুষ্টিয়া জেলাতে রাস্তায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। শহরের রাস্তা ঘাটগুলো মোটর সাইকেল, অটো রিস্কা,ইজি বাইকের পুরোপুরি দখলে ।শুধু কাজের প্রয়াজনে এ সমস্ত গাড়ি বা মোটরসাইকেল গুলো চললে হয় ,মাঝে মাঝে রাস্তায় বেশকিছু মোটর সাইকেল দেখা যায় যেগুলো সামনের চাঁকা উঁচু করে প্রতিযোগিতা নামে।সাধারন মোটর সাইকেল আরোহীদের কারো করো মোটরসাইকেলে হাইড্রলিক হর্ন লাগানো থাকে,এতে সাধারন জনগন পড়ছে বিপদে ।

শতকরা প্রায়৭০%মোটর সাইকেল ,অটো রিস্কা,ইজিবাইকে মানুষের চোখের ক্ষতি এল.ই.ডি লাইট লাগানো থাকে,বিপরীত দিক থেকে আশা পথচারীরা চোখে কিছু দেখতে পারে না , যার কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে শহরের রাস্তা গুলোতে। এখন শহরের হাসপাতাল মোড়,কলেজ মোড়,থানার মোড়, বড়বাজার, বাবর আলী গেইট ,মজমপুর গেইট সহ বেশকিছু সড়ক জানজটের কারনে প্রায়ই বন্ধ থাকে । এসময় ১৮ বছেেরর নিচে বয়স এমন কিছু ছেলেদের দেখা যায় যারা রাস্তায় মোটর সাইকেল নিয়ে বিপাকে পড়েছে অথবা কাউকে বিপদে ফেলেছে। কিন্তু আমরা কি সাবধান হচ্ছি? গাড়ি চালানোর জন্য দেশে মোটরযান আইন রয়েছে।

ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর আগে একবার আইনের কথাটা মাথায় রাখুন।কুষ্টিয়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এস,এম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার) বলেন ,‘নিজের জন্য হলেও আইন মেনে চলা উচিত সবার। মোটরসাইকেল চালানোর আগে অবশ্যই বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন সনদের সঙ্গে পাওয়া আইনগুলো পড়ে নেওয়া উচিত। কারণ, রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা গুনতে হবে।’চালক ও আরোহীকে অবশ্যই হেলমেট পরতে হবে। একটি মোটরসাইকেলে সর্বমোট কতজন চলাচল করতে পারে? ‘চালকসহ মোট দুজন। এক মোটরসাইকেলে এর বেশি যাত্রী থাকলে সেটা বেআইনি।’মোটরযান আইন ১৯৮৮ (সংশোধনী) অনুসারে, চালক ও যাত্রী দুজনের মাথায় অবশ্যই হেলমেট থাকতে হবে। এ ছাড়া হাতে গ্লাভস ও পায়ে জুতা পরে তবেই চালকের আসনে বসতে হবে। এসব আইন না মেনে মোটরসাইকেল চালালে পুলিশ যেকোনো সময় মামলা করে দিতে পারে।


আইনের ১৪০ ও ১৪৯ ধারা অনুসারে এই মামলা করা হয়, যেখানে ১৪০ ধারায় আদেশ অমান্য করার অভিযোগে মামলায় জেলায় ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ১৪৯ ধারায় বলা হয়, নিরাপত্তাহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোর অপরাধে মামলা। এই মামলা জেলার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।


তাই মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে মামলায় জড়ালে না হয় জরিমানা দিয়ে রেহাই পেলেন। কিন্তু দুর্ঘটনায় যদি আপনার জীবন হুমকিতে পড়ে, সেই জরিমানা কার কাছে দেবেন? কুষ্টিয়া জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক মো:আসলাম হোসেন এবং সুযাগ্য পুলিশ সুপার এস,এম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার) এর কাছে এ ধরনের অন্যায় ,অনিয়ম কারীদের শাস্তি দাবী করেন কুষ্টিয়া জেলার প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *